অনেকের ঠোঁটেই কালচে ভাব থাকে, যার ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় অনেক সময়। নানা কারণে ঠোঁট কালো হতে পারে। ধূমপান, ট্যান পড়া, অ্যালার্জি, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক ঠোঁটের কালচেভাব দূর করতে বাজারে চলতি প্রসাধনীতে ভরসা রাখেন। এসব পণ্যের ব্যবহারে সাময়িক সমাধান হয়তো মেলে। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘরোয়া টোটকার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। চলুন বিস্তারিত জানা যাক-
হলুদ আর দুধের মিশ্রণ : এক চিমটি হলুদের সঙ্গে অল্প পরিমাণ দুধ মেশান। ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। হলুদ প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট উজ্জ্বল করে।
শসা : স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি একটি ফল শসা। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতেও এর ওপর ভরসা রাখতে পারেন। শসা পাতলা স্লাইস করে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য এটি ঠোঁটের ওপর রাখুন। শসার প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। টানা ১ মাস প্রতিদিন এই উপায়টি কাজে লাগালে উপকার পাবেন। গ্রিন টি : স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের অনেকেই গ্রিন টি পান করে থাকেন। ব্যবহারের পর গ্রিন টি’র ব্যাগগুলো ফেলে না ফিয়ে ফ্রিজে রাখুন। ঠান্ডা চায়ের ব্যাগ কয়েক মিনিটের জন্য আলতো করে চাপ দিয়ে রাখুন ঠোঁটে। ১০ মিনিট রাখলেই চলবে। গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
বিটরুট : ঠোঁটকে প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি করতে সাহায্য করে বিটরুট। অল্প পরিমাণ বিটরুট ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। এই রস ঠোঁটে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। বিটরুটে প্রাকৃতিক রঞ্জক রয়েছে, যা ঠোঁটে গোলাপি আভা নিয়ে আসে। নিয়মিত এই কাজটি করুন। চিনি আর অলিভ অয়েল : অনেক সময় ডেড সেল বা মৃত কোষ জমলে ঠোঁট কালো দেখায়। নির্দিষ্ট সময় পর পর এই চামড়া পরিষ্কার করা দরকার। চিনির সঙ্গে অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। এই মিশ্রণ বৃত্তাকার গতিতে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে নিন। ঠোঁট তার স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরে পাবে। এসবের পাশাপাশি ঠোঁট গোলাপি রাখতে হাইড্রেটেড থাকার চেষ্টা করুন। প্রচুর পানি পান করুন। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে খাদ্যের তালিকায় ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যোগ করুন। বিশেষ করে ফলমূল ও শাকসবজি ঠোঁটের কালোভাব দূর করতে উপকারি ভূমিকা রাখে।