সুসংবাদ প্রতিদিন
কালো ধান চাষে মিলনের চমক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
রংপুরে বিদেশি জাতের ব্ল্যাক রাইচ বা কালো ধান চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মিলন রায়। গতানুগতিক ধারার বাইরে বিদেশি জাতের এ ধান উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় তার দেখাদেখি এলাকার অন্য চাষিরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তারাও বীজ সংগ্রহ করে ভবিষ্যতে এ জাতের ধান চাষ করবে বলে জানিয়েছেন। কালো ধানের চালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে সুস্থ রাখে। এছাড়া এ ধানের চালে রয়েছে ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধ ক্ষমতা। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। ব্ল্যাক রাইস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই ধান আবাদে। মিলন রায় বলেন, ব্ল্যাক রাইসকে স্বাভাবিক ধানের মতোই পরিচর্যা করতে হয়। অতিরিক্ত কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন না হলেও অন্য ধানের তুলনায় অধিক লাভবান হওয়া যাবে। এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন তিনি। তবে তিনি বাণিজ্যিকভাবে এটি বিক্রির বিষয়ে অনেকটাই চিন্তিত, উৎপাদিত এই কালো রঙের চাল কোথায় বিক্রি করবেন তা এখনো জানেন না তিনি। রংপুর নগরীর ৬নং ওয়ার্ডের চব্বিশ হাজারির উত্তরপাড়া গ্রামে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মিলন রায় ইউটিউবে প্রথম এ ধানের চাষাবাদ সম্পর্কে জানেন। পরে ৫০০ টাকা দিয়ে পঞ্চগড় থেকে সাবেক একজন সেনা সদস্যের কাছ থেকে ২ কেজি বীজধান কিনেছিলেন। ২০ শতক জমিতে ব্ল্যাক রাইসের পাশাপাশি ২৫ শতক জমিতে বি-৫২ প্রজাতির ধান চাষ করছেন। কৃষি অফিসে যোগাযোগ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি এ বিষয়ে কোনো দপ্তরেই যোগাযোগ করেননি। তবে ধান কাটা-মাড়াইর পর যোগাযোগ করবেন। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল জানান, ব্ল্যাক রাইস রোপণের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেননি তিনি (মিলন রায়)। ব্ল্যাক রাইস বিক্রির বিষয়ে তিনি জানান, এটি সম্পূর্ণ কৃষি বিপণন অধিদফতরের অন্তর্ভুক্ত। তারা কয়েকটি অ্যাপসের মাধ্যমে এ ধরনের ব্যতিক্রমী কিছু চাল বিক্রি করে থাকেন, তবে এটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে বিক্রি করা অনেকটাই কঠিন কিন্তু কিছু কিছু সুপারশপে এটি বিক্রি করা সম্ভব। আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই সহযোগিতা করা হবে।