অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক
ইইউ’র বাজারে গার্মেন্ট রপ্তানি বেড়ে দাঁড়াল সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক খাত থেকে দেশের রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং ইতালিতে দেশের আরএমজি রপ্তানি যথাক্রমে ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ, ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ২৩ দশমিক ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার, আগের অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন হ্রাস পেয়ে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। এই তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময় যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার এবং ৩৫২ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে, অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের মধ্যে ১ দশমিক ৮০ বিলিয়ন থেকে ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন হয়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ৫৪ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে তবে, এই তিন মাসে ভারতে পোশাক রপ্তানি ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে।
বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানিয়েছেন, এই সময়ে তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় বাড়লেও উৎপাদন খরচের পাশাপাশি অর্ডারের সংখ্যা কমেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বিবিধ বিলও। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সফল পরিবর্তনের জন্য অর্ডার বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। দেশের তৈরি পোশাক খাত এখন পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং দক্ষ জনবলের সঙ্গে আরো কমপ্লায়েন্ট হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে মহিউদ্দিন রুবেল আশাবাদ ব্যক্ত করেন- এই পোশাক খাত আগামী দিনে আরো ভালো হবে। অপ্রচলিত বাজারে তৈরি পোশাক আইটেমের পারফরম্যান্সের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামগ্রিক রপ্তানি আয় বাড়াতে রপ্তানিকারকদের অপ্রচলিত বাজারে তাদের রপ্তানি বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিজিএমইএ পরিচালক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখার পাশাপাশি জার্মানি ও ভারতের পোশাক বাজার থেকে ফের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।