কক্সবাজারের পেকুয়ায় আবু ছৈয়দকে হত্যা করে পা কেটে নেয়ার মামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারি নেজামুল ইসলাম মোজাহিদসহ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। এই নেজামুল ইসলাম মোজাহিদ পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াশিমের ব্যক্তিগত সহকারী। এই নিয়ে মামলাটিতে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব।
গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের আফজালিয়াপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে নেজামুল ইসলাম মুজাহিদ (২৮), একই এলাকার মৃত নুরুন্নবীর ছেলে আমিরুজ্জামান (২৮) ও মৃত নুরুন্নবীর ছেলে জামিল ইব্রাহিম ছোটন (২৫)। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ১০ অক্টোবর বিকালে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়াপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে আবু ছৈয়দকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাসহ তার একটি পা কেটে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও এ ঘটনায় আবু ছৈয়দের স্ত্রীসহ চারজন গুরুতর আহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার ও হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের পর দিন ১১ অক্টোবর নিহতের ছেলে ছৈয়দ মোহাম্মদ ইমন বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়া মাত্রই র্যাব-১৫ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।’
লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে পেকুয়ার আফজালিয়াপাড়ায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।