ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রামের ২৫তম ব্যাচ ও মাদারীপুরের ১৪তম ব্যাচ প্রশিক্ষণার্থী রেটিংদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফা কামাল, অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান। এতে দেশের সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ, দেশি ও বিদেশি জাহাজ মালিক এবং এজেন্টদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে দেশের সকল সেক্টর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশ হতে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। এরই অংশীদার হিসেবে শিপিং সেক্টরও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাই শিপিং সেক্টরে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রেনিং ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, মাদারীপুরের স্থাপনাদির নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই মাদারীপুর ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করা হবে।। সেখানে প্রতি ব্যাচে ৩০০ জন করে দুটি ব্যাচে প্রতি বছর ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা সম্ভব হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনায় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর এবং মেহেরপুর স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, যা আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। প্রতিমন্ত্রী ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রামের একাত্তরের স্মৃতি রক্ষার্থে এনএমআই ক্যাম্পাসে নব-নির্মিত স্মারক স্তম্ব¢ ‘স্মৃতিময় ৭১’ এর শুভ উদ্বোধন করেন। পরে ’৭১ এর বধ্যভূমির স্মৃতি স্মারক উম্মোচন করেন। বিশেষ অতিথি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল বলেন, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট হতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত রেটিংগণের মধ্য হতে বহুসংখ্যক নাবিক কম্পিটেন্সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের ক্যাপ্টেন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, চিফ অফিসার, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার, থার্ড অফিসার, চতুর্থ ইঞ্জিনিয়ার এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পদে দক্ষতার সাথে চাকরি করে আসছেন।
অধ্যক্ষ তার বক্তব্যে বলেন, অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন করায় যে সেসব প্রতিষ্ঠান সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের সৌজন্যে প্রদত্ত গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হন অল রাউন্ড রেটিং মো. সাইমুন এবং মেসার্স হক অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের সৌজন্যে প্রদত্ত সিলভার মেডেল প্রাপ্ত হন মো. ছাব্বির মন্ডল। প্রশিক্ষণ কোর্সে ২৯৬ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
