ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

পুঠিয়ায় বেগুন চাষে সফল যুব উদ্যোক্তা

পুঠিয়ায় বেগুন চাষে সফল যুব উদ্যোক্তা

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুরিয়া ইউনিয়নের ধাদাশ এলাকায় সবজি চাষে আগ্রহী হয়েছেন কয়েকজন যুবক উদ্যোক্তা। তারা কৃষিকাজকে ভালোবেসে নিজ নিজ ব্যবসা ও চাকরির পাশাপাশি জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে সফল হচ্ছেন। বাণিজ্যিকভাবে বেগুন, পেয়ারা, ফুলকপি, পটলসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে থাকেন এই উদ্যোক্তারা। এদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী একজন দলিল লেখক, মো. শামীম আলী একজন ডাল ব্যবসায়ী, আবুল কাশেম একজন প্রভাষক, মো. রেজাউল করিম একজন সহকারী শিক্ষক তারা নিজ নিজ কর্মব্যস্ততার মাঝেও বেগুনের চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। বেশি ফলন ও বাজারে ভালো দাম থাকায় খুশি এই উদ্যোক্তারা। জানা যায়, বর্তমানে পুঠিয়ার ধাদাশের এই উদ্যোক্তারা এখন জমিতে তাল বেগুন, ফুলকপি ও পেয়ারা গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার খরা আবহাওয়া থাকলেও হাগরা তাল জাতের এই বেগুনের ভালো ফলন হয়েছে। চারা রোপণের দুই মাসের মধ্যেই বেগুন ঘরে তোলা যায়। ফলে এখানকার চাষিরা খুব কম সময়েই বেগুনের ভালো ফলন পেয়ে থাকেন। পুঠিয়া কৃষি অফিসের তথ্য মতে, সারা বছরের বিভিন্ন মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বেগুন চাষাবাদ হয়। এতে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে। উদ্যোক্তা শামীম আলী বলেন, কৃষি অফিসের কোনো সহযোগিতা ছাড়াই আমরা ব্যবসার কাজ শেষ করে বাড়তি কিছু আয় করতে চেয়েছি। সেই লক্ষ্যেই বেগুনের চাষ করেছি। চারা রোপণের মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ দিন পর থেকে এখন বেগুন সংগ্রহ করতে পারছি। আমার ২৩ শতাংশ জমি থেকে সপ্তাহে ১৫ থেকে ১৮ মণ বেগুন সংগ্রহ করি। বেপারীরা জমি থেকে বেগুন কিনে নিয়ে যান। বাজারেও দর ভালো। আশা করছি, অনেক টাকার বেগুন বিক্রয় করতে পারব। এতে যেমন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশাপাশি আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি। মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা আমাদের গ্রামের কয়েকজন উদ্যোক্তা মিলে নিজস্ব কাজকর্ম শেষ করে বাড়তি লাভের আশায় বাড়ির কাছের জমিগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে উচ্চ ফলনশীল বেগুন, পেয়ারা, ফুলকপি, শসা, ঢ্যাঁড়শসহ বিভিন্ন সবজি ও ফল চাষ করছি। এতে ভালো সাড়া পাচ্ছি। পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন, আমরা কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করছি। তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষি কাজে অংশগ্রহণ করছেন। আমাদের এলাকায় অনেক বেগুন চাষ হয়। আর তাল জাতের বেগুনটাও ঢাকা অঞ্চলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এতে চাষিরা ভালো লাভবান হচ্ছে। এতে কৃষিকাজে শ্রম ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এসব উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত