এমন এক পানীয় চা, যা কি না একঘেয়েমি কাটাতে এর জুড়ি মেলা ভার। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলার জন্যও অনেকে বিশেষ কিছু চায়ের ওপর ভারসা রাখেন। তবে চিকিৎসকদের মতে, ঘন ঘন চা পানের এই প্রবণতা নানা রকম শারীরিক সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এক কাপ চায়ে সাধারণত ২০-৬০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। তাই প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপের বেশি চা পানে বাড়তে পারে কঠিন কয়েকটি রোগের ঝুঁকি, চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী ত্বকের ক্যান্সার হয়- বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ত্বকের ক্যান্সারের নেপথ্যে আছে অতিরিক্ত দুধ চা পানের অভ্যাস। তবে দুধ চা পান করলেই যে ক্যান্সার হবে, এমন ধারণার বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা না মিললেও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এই অভ্যাস।
অ্যালার্জি : ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য বলেছে, ঘন ঘন চা পানে ত্বকে অ্যাকজিমা, ডার্মাটাইটিসের মতো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। ফলে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন ফুসকুড়ি বেরোনো কিংবা ব্রণের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
প্রদাহ : চায়ে আদা কিংবা ছোট এলাচ দিয়ে খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। এই দুই উপাদানের গুণে স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয় হয়ে ওঠে চা। তবে একাধিকবার এই জাতীয় চা পানে ত্বকে প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে।
কোলাজেনের মাত্রায় পরিবর্তন ঘটে : কোলাজেন এমন এক ধরনের প্রোটিন, যা ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফেইন ও দুধ শরীরের প্রাকৃতিক কোলাজেনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। ফলে অল্প বয়সেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে পারে।
হরমোনের মাত্রাতেও পরিবর্তন ঘটে : অতিরিক্ত চা পানের অভ্যাস শরীরে নানা রকম হরমোন ক্ষরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, যার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর। ত্বকে সেবাম উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে, মুখে বাড়তে পারে ব্রণ।