সুসংবাদ প্রতিদিন : ভেড়া পালন

চরের নারীদের দিনবদলের স্বপ্ন

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গাইবান্ধার তিস্তা-যমুনাসহ আরো বেশ কিছু নদের বুকে জেগে ওঠা চরে লক্ষাধিক পরিবারের বসবাস রয়েছে। এখানকার পিছিয়ে পড়া পরিবারের মধ্যে শতাধিক নারী ভেড়া পালন করে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সরেজমিন সম্প্রতি গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন চরে গিয়ে দেখা যায়, নারীদের ভেড়া পালনের চিত্র। এ সময় অনেকে পালিত ভেড়াগুলোকে খাদ্য দিতে ব্যস্ত ছিলেন। জানা যায়, গাইবান্ধার চরাঞ্চলগুলো দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হওয়ায় দরিদ্রতা ও জীবন জীবিকার মানোন্নয়ন থেকে পিছিয়ে সেখানকার মানুষ। বিশেষ গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানির বাটিকামারী, ফুলছড়ি উপজেলা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী, কাপাসিয়া ইউনিয়নের আটটি চরাঞ্চলের মানুষ অনেক পিছিয়ে। এরই মধ্যে বিষয়টি ফ্রেন্ডশিপ নামের একটি বেসরকারি সংগঠনের নজরে আসে। এরপর ফ্রেন্ডশিপের এএসডি প্রজেক্টের বাস্তবায়নে ও লুক্সেমবার্গের আর্থিক সহযোগিতায় ওই সব মানুষকে উন্নত জাতের ভেড়া প্রদান করে নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে আটটি চরের ৩০ জন করে ২৪০ জন দুস্থ নারীকে ভেড়া প্রদান করা হয়েছে। আর এই ভেড়া বিক্রি করে চরাঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। সুবিধাভোগী রুবিনা আক্তার বলেন, ফ্রেন্ডশিপ থেকে বিনামূল্যে ভেড়া পেয়ে তা লালন-পালন করছি। এ থেকে আগামী ১ বছরে আরো ১০টি বাচ্চা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ দিয়ে খামারে পরিণত করা হবে। আরেক সুবিধাভোগী শাহানা বেগম জানান, একসময়ে তার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এরপর ফ্রেন্ডশিপ থেকে একটি ভেড়া পেয়ে সেটি থেকে একাধিক হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি ভেড়া বিক্রি করে বেশ স্বচ্ছলতা ফিরেছে। এএসডি প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার দিবাকর বিশ্বাস জানান, চরাঞ্চলের মানুষ বন্যার কারণে ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এখানকার পিছিয়ে পড়া মানুষদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আমরা প্রকল্প থেকে ভেড়া প্রদান করেছি। বিভিন্ন সময়ে উঠান বৈঠকে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আয় বৃদ্ধিমূলক কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও দুর্যোগ সহনশীল সক্রিয় সমাজব্যবস্থার মাধ্যমে দরিদ্রতা দূরীকরণ ও জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নই হচ্ছে ফ্রেন্ডশিপের লক্ষ্য।