সরকারি খরচে ২০১২ সাল থেকে আগস্ট-২০২৩ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ১৮১ কারাবন্দিকে দেশের ৬৪ জেলা কমিটির মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান করেছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা (লিগ্যাল এইড)।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লিগ্যাল এইড’র মাধ্যমে সরকারি খরচায় ২০০৯ সাল থেকে আগস্ট-২০২৩ পর্যন্ত ৯ লাখ ৩৪ হাজার ৭৩০ জনকে আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে। আইনি সহায়তা প্রদানকৃত মামলার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৫ হাজার ২২৫টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫টি মামলা। সরকারি আইনি সহায়তার জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টারের (টোল ফ্রি-‘১৬৪৩০’) মাধ্যমে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫টি আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল দেশব্যাপী আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় : ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন’। দিবসটিতে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগ এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার উদ্যোগে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। ২০১৬ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণয়ন করে। ২০০০ সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তার পরের সরকারগুলো আইনটি কার্যকরে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকর করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। দেশের সব আদালত, সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে ‘লিগ্যাল এইড’ এখন দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থীদের কাছে ভরসাস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।