এরই মধ্যে বাতাসের আর্দ্রতা কমতে শুরু করেছে। নাক, মুখ দিয়ে প্রবেশ করছে দূষিত বায়ু। শিল্পাঞ্চলগুলোতে এই ধরনের সমস্যা আরো বেশি হয়। ফলে ঘরে ঘরে শুকনো কাশিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। শুকনো কাশি হলে তার প্রভাব পড়ে গলায়, বুকে, পিঠে। যন্ত্রণাদায়ক এই স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া উপাদান কাজে লাগাতে পারেন। চলুন জানা যাক বিস্তারিত-
আদা : গলার খুসখুসে ভাব দূর করতে দারুণ কাজ করে আদা। দুই কাপ পানিতে অল্প পরিমাণ আদা কুচি ফুটিয়ে নিন। এর সঙ্গে মেশান সামান্য মধু। এই পানীয় পান করলে খুসখুসে ভাব থেকে মুক্তি মিলবে। আদা আর মধুর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায়। এটি জীবাণুর সংক্রমণ কমাতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি আদা পানিতে ফুটিয়ে যদি সেই পানি দিয়ে গড়গড়াল করতে পারেন, তাতেও উপকার মিলবে। গার্গল করার আধ ঘণ্টা আগে বা পরে কোনো খাবার খাবেন না। এ সময় কম কথা বলবেন। কাশি কমবে ধীরে ধীরে।
হলুদ : হলুদে আছে ভিটামিন, খনিজ লবণ, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, লোহা ইত্যাদি উপাদান। হলুদ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শুকনো কাশি কমাতে হলুদ বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। এক কাপ দুধে ১ চামচ হলুদ মিশিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খান। উপকার পাবেন। চাইলে কয়েক চামচ হলুদের রসও খেতে পারেন।
রসুন : রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক যৌগ। এটি অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল হিসেবে পরিচিত। রসুন চিবিয়ে খেলে অ্যালিসিন সক্রিয় হয়। এই উপাদানটি রক্তের শ্বেতকণিকার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। প্রতিদিন একটি করে রসুনের কোয়া খেতে পারলেই মুক্তি মিলবে সর্দি কাশি থেকে।