ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুন্দরবন-বেনাপোল এক্সপ্রেস

পদ্মা সেতু রুটে যেসব জায়গায় থামবে

পদ্মা সেতু রুটে যেসব জায়গায় থামবে

পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন রেলপথ উদ্বোধন হওয়ায় আগামী ১ নভেম্বর ঢাকা থেকে ওই পথে ট্রেন চালাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরই মধ্যে যমুনা সেতু হয়ে চলাচল করা খুলনা ও বেনাপোল রুটের ২টি ট্রেন রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে চালাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনা পাওয়ার পর ট্রেন ২টি নতুন রুটে কোথায় কোথায় যাত্রাবিরতি করবে এবং কখন কখন ঢাকা, খুলনা ও বেনাপোল থেকে ছাড়বে তা জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক দপ্তারাদেশে তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মহাপরিচালক কার্যালয়ের পত্রের আলোকে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন ২টি রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু দিয়ে পরিচালিত হবে। সেই হিসেবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ দিয়ে নতুন রুটে যাত্রা শুরু হবে। ওইদিন ট্রেনটি খুলনা ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে এবং ঢাকা পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে এবং খুলনা পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে। ট্রেনটি খুলনা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে দৌলতপুর, নোয়াপাড়া, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।

ঢাকা থেকে ফিরতি পথে ট্রেনটি ভাঙ্গা জংশন, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া কোর্ট, পোড়াদহ জংশন, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা হল্ট, কোটচাঁদপুর, মোবারকগঞ্জ, যশোর, নোয়াপাড়া এবং দৌলতপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।

অন্যদিকে আগামী ২ নভেম্বর থেকে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ দিয়ে নতুন রুটে যাত্রা শুরু হবে। ওইদিন ট্রেনটি বেনাপোল ছাড়বে দুপুর ১টায় এবং ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। অন্যদিকে ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এবং বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। ট্রেনটি উভয় পথে ঝিকরগাছা, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। সুন্দরবন ও বেলাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের বিদ্যমান রেক কম্পোজিশন, মার্শালিং ও আসন বিন্যাস বলবৎ থাকবে বলেও ওই দপ্তারাদেশে জানানো হয়।

দপ্তারাদেশে আরও বলা হয়, ডিটিও, ডিএমই (লোকো, সিএন্ডডব্লিউ), ডিএসটিই, ডিইই, পাকশী ও ঢাকা প্রদত্ত সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করবে। সময়সূচি-৫২-তে উল্লিখিত গতি নিয়ন্ত্রণাদেশ ও অন্যান্য নির্দেশাবলী যথাযথভাবে পরিপালন করতে হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে গত ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন শাখার উপ-পরিচালক মো. শওকত জামিল মোহসী স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট ১ নভেম্বর থেকে পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন পরিচালনা ও বেনাপোল-ঢাকা- বেনাপোল রুটে চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট ২ নভেম্বর থেকে পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন পরিচালনার প্রস্তাব দুটি অনুমোদন করা হলো। এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে পাঠানো হলো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত