গাজার দুটি আবাসিক এলাকায় ইসরাইলি হামলা : নিহত ৩০
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দুই আবাসিক এলাকায় ইসরাইলি বিমান বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে উপত্যকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল ভোরবেলায় পরিচালিত হয়েছে এই অভিযান।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ সিটি এবং উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়ায় অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলের বিমান বাহিনী। হামলার পর রাফাহ সিটি থেকে ১৪ জন এবং জাবালিয়া থেকে ১৬ জন ফিলিস্তিনির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো বেশ কয়েকটি লাশ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ইসরাইলের ভূখণ্ডে অতর্কিতে হামলা চলানোর পর ওই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। ইসরাইল ও হামাসের গত দু’সপ্তাহের যুদ্ধে এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক এবং ৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
কয়েক দিন আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালনো হবে না। অবশ্য গতকালের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তারা বেসামরিক না কি হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট- তা স্পষ্ট করেনি গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে। খাদ্য-ওষুধ নিয়ে গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় ত্রাণবাহী ২০ ট্রাক গাজায় খাদ্য এবং ওষুধ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক। হামাসের মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে রাফা সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়ে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার মিশর সফরের সময় রাফা ক্রসিং খুলে দিয়ে গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু সূত্র বলছে, ২০টি ট্রাকে করে প্রথম দফায় প্রধানত চিকিৎসাসামগ্রী এবং সামান্য খাদ্য সরবরাহ করা হতে পারে। তবে পানি ও জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
হামাসের মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ত্রাণবাহী যে বহরের প্রবেশের কথা রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ২০ ট্রাক ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী এবং সীমিত পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী (টিনজাত পণ্য)। ইসরাইলের হামলায় গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাফা ক্রসিং দিয়ে অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন দেশ। এরই অংশ হিসেবে এবার ওষুধ এবং স্বাস্থ্য সরঞ্জামসহ ৬০ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য পাঠাচ্ছে ইরান। রাফা সীমান্ত খোলার পরই এই সহায়তা গাজার বাসিন্দাদের কাছে পাঠানো হবে বলে তেহরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়। শুক্রবার তেহরানের বিমানবন্দরে এসব মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান কৌলিভান্দ। তিনি জানিয়েছেন, ইরান গাজা সীমান্তের কাছে মিশরে তিনটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের জন্যও প্রস্তুত। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া সাগরপথে গাজায় পণ্য সরবরাহ করতেও ইরান প্রস্তুত। গাজা উপকূলে জাহাজের মাধ্যমে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে।
গাজায় প্রথমবার মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে ইরান ইসরাইলের হামলায় মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গাজায়। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলের রাফা ক্রসিং দিয়ে অবরুদ্ধ গাজায় বিভিন্ন দেশ মানবিক সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এবার মেডিসিন ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামসহ ৬০ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য পাঠাচ্ছে ইরান। গতকাল ইরনা নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফা সীমান্ত খোলার পরই এই সহায়তা গাজার বাসিন্দাদের কাছে পাঠানো হবে। শুক্রবার তেহরানের বিমানবন্দরে এসব মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান কৌলিভান্দ।
তিনি জানিয়েছেন, ইরান গাজা সীমান্তের কাছে মিশরে তিনটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের জন্যও প্রস্তুত। এই বিষেয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া সাগরপথে গাজায় পণ্য সরবরাহ করতেও ইরান প্রস্তুত। গাজা উপকূলে জাহাজারে মাধ্যমে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে।
এদিকে গাজায় জিম্মি অবস্থায় থাকা মার্কিন নাগরিক জুডিথ রানান ও তার মেয়ে নাতালি রানানকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। হামাসের হাতে জিম্মি থাকাদের মধ্যে এই দুই নারীই প্রথম যারা মুক্তি পেলেন। শুক্রবার মুক্তি পাওয়ার পর জুডিথ রানান ও তার মেয়ে নাতালি রানান ইসরাইলে পৌঁছেছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন-নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হামাসের মুখপাত্র আবু ওবাইদা বলেছেন, কাতারের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার পর মানবিক কারণে দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : বিসিসি ও আলজাজিরা।