ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ১৮ জন ফিলিস্তিনি, তিনজন ইসরাইলি এবং একজন লেবাননের নাগরিক।
সিপিজে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৫ সাংবাদিক ইসরাইলি বিমান হামলায় এবং দু’জন দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আরো ৮ সাংবাদিক আহত হয়েছেন এবং তিনজন নিখোঁজ বা আটক হয়েছেন।
এক মুখপাত্র বলেন, সিপিজে জোর দিয়ে জানিয়েছে যে, সাংবাদিকরা হচ্ছেন এমন বেসামরিক নাগরিক যারা সংকটের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। সে কারণে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর উচিত সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু না করা। এদিকে গাজায় জিম্মি অবস্থায় থাকা মার্কিন নাগরিক জুডিথ রানান ও তার মেয়ে নাতালি রানানকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, হামাসের হাতে জিম্মি থাকাদের মধ্যে এই দুই নারীই প্রথম যারা মুক্তি পেলেন। গত শুক্রবার মুক্তি পাওয়ার পর জুডিথ রানান ও তার মেয়ে নাতালি রানান ইসরাইলে পৌঁছেছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন- নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হামাসের মুখপাত্র আবু ওবাইদা বলেছেন, কাতারের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার পর মানবিক কারণে দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদিকে দুই জিম্মির মুক্তি নিশ্চিতে কাতার এবং ইসরাইলের যৌথ প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে অনেক দিনের লাগাতার যোগাযোগের পর এই দুই জিম্মির মুক্তি মিলেছে। সব দেশের সব বেসামরিক জিম্মির মুক্তিতে আলোচনা মুখ্য ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
