সুসংবাদ প্রতিদিন
বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে লাভবান কৃষক
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে লাভবান হয়েছেন হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রাঘপাশা গ্রামের কৃষক মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া। তিনি মাত্র ১০ শতক জমিতে টমেটো চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। বর্তমান সময় তাকে দেখে এলাকার অনেকেই গ্রাফটিং টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, টমেটো চাষে কৃষক মানিক মিয়া মালচিং পেপার ও হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করেছেন। খেতে জৈব বালাইনাশক দেওয়া হয়েছে। এতে বিষমুক্ত টমেটো উৎপাদন হয়। খেত থেকে এসব টমেটো সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। পাইকাররা এসব টমেটো প্রতি কেজি বাজারে বিক্রি করেন ১২০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। কৃষক মানিক মিয়া বলেন, দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তিনি প্রায় ১০ শতক জমিতে গ্রাফটিং টমেটো জাত বারি-৮ আবাদ করে সফলতা পান। প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচে ৫০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি হয়েছে। আরো কিছুদিন বিক্রি থেকে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা। তাই আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে এ জাতের টমেটো চাষ করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, লাভজনক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় মোটিভেশনের মাধ্যমে মালচিং পেপার দিয়ে গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং টমেটো চাষ করে কৃষক মানিক লাভবান। তিনি বলেন, গ্রাফটিং পদ্ধতিতে গেলে তিত বেগুনের চারা দিতে হয় একই সঙ্গে। গ্রাফটিং করার উদ্দেশ্য হলো বর্ষাকালে মাটিতে আর্দ্রতা বেশি থাকে। তিত বেগুনে কাটিং পদ্ধতিতে গ্রাফটিং করলে এর শিকড় অনেক শক্ত হয়। ফলে পানি শিকড় নষ্ট করতে পারে না। বাহুবলে এ জাতের টমেটোর চাষ তেমন ছিল না। বর্তমানে চাষিরা টমেটো চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।