ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সংকট

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সংকট

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে গেল দুই দিন ধরে গ্যাস সংকট চলছে। গত শনিবার থেকে শুরু হয়ে সংকট গতকালও অব্যাহত ছিল। তবে গতকাল রোববার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও সংকট কাটেনি। সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস নেয়। এর মধ্যে সামিটের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাচ্ছে না তারা। এরইমধ্যে একটি লাইন বন্ধ হয়ে যায়। তাই চট্টগ্রামে তৈরি হয়েছে গ্যাস সংকট।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই গ্যাস সংকট আরো একমাস থাকবে। শনিবার নগরের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ গ্যাস সংকট দেখা দেয়। গতকাল তা অব্যাহত ছিল। এতে বিপাকে পড়েন হাজারো গ্রাহক। হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রান্না হয়নি অনেক বাসাবাড়িতে।

গ্যাস না থাকায় চকবাজার, বহদ্দারহাট, নাসিরাবাদ, নিউমুরিং, দেওয়ানবাজার, জামালখান, বাকলিয়া, ডিসি রোড, চন্দনপুরা, আসকারদিঘির পাড়, হালিশহর, রহমতগঞ্জ, আগ্রাবাদ, অলঙ্কার, বন্দর এলাকা, বিবিরহাট, দুই নম্বর গেট, পাঁচলাইশ, মুরাদপুর, খুলশি, অক্সিজেন, বালুচরাসহ নগরের বিভিন্ন এলাকার বেশিরভাগ বাসাবাড়িতে জ্বলেনি চুলা। তবে যেসব বাসায় তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) আছে- সেখানে রান্নার সমস্যা হয়নি। শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা-এই চারঘণ্টা ধরে চলে গ্যাস সংকট। বিকাল ৩টার পর একটু একটু করে আসতে শুরু করে গ্যাস। গতকাল সকাল থেকে আবার শুরু হয় গ্যাস সংকট। তা দিনভর অব্যাহত ছিল। চট্টগ্রাম কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মোট গ্রাহক ও সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি। চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া যায় ২৭০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বাকি গ্যাস পাওয়া যেত আরেকটি টার্মিনাল থেকে। কিন্তু এখন ওই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে সংকট তৈরি হয়েছে। যে গ্যাস পাচ্ছে তার অর্ধেক চলে যায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সার এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রে। বাকি গ্যাস দিয়েই আবাসিকসহ অন্যান্য জায়গায় চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। একমাস ধরে এই সংকট থাকবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত