চট্টগ্রাম নগরীর পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জনের প্রধান স্থান পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের দিন প্রতিমা নিয়ে আসা ট্রাক চলাচলের রুট নির্ধারণ ও বিসর্জনে নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে। প্রতি বছরের ন্যায় এদিন দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। এ জনসমাগমে যেন কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সে জন্য নানান প্রস্তুতি নেয় মহানগর পুলিশ। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, পতেঙ্গার মূল সৈকতের বেড়িবাঁধ ও পার্কি চর সি-বিচে প্রতিমা বিসর্জনের দুটি ভেন্যু ঘিরে প্রতিমা বহনকারী যানবাহনগুলোর আগমন ও বহির্গমন রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিমা বহনকারী গাড়িগুলো সিমেন্ট ক্রসিং বামে মোড় নিয়ে বিমানবন্দর হয়ে সি-বিচে প্রবেশ করবে। এছাড়া আশপাশ থেকে আগত প্রতিমাবাহী গাড়ি বারেক বিল্ডিং, নিমতলা মোড়, কাস্টমস মোড়, সল্টগোলা, ইপিজেড ক্রসিং, সিমেন্ট ক্রসিং, গুপ্তখাল, বিমানবন্দর ও বাটারফ্লাই ক্রসিং হয়ে পতেঙ্গা বিচে প্রবেশ করবে। সেখানে প্রতিমা বিসর্জনের পর যানবাহনগুলো কাঠগড়, স্টিল মিল বাজার ও সিমেন্ট ক্রসিং হয়ে বেরিয়ে যাবে। পতেঙ্গা বিচে ১৩৬টি পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জনের কথা রয়েছে। জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর প্রতিমা বিসর্জনের প্রধান স্থান পতেঙ্গা সৈকত। এদিন সেখানে বিভিন্ন বয়সি মানুষের উপস্থিতি শুরু হয় দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর জন্য। ধর্মপ্রাণ নর-নারীর উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো সৈকত এলাকা। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি সদরঘাটে কর্ণফুলী নদীর তীর এলাকাতেও ভিড় করেন হাজার হাজার হিন্দু নর-নারী। পুলিশ ছাড়াও র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।