ঢাকা ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত

দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান আজ

বসবে লাখো মানুষের মিলনমেলা
দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান আজ

আজ মঙ্গলবার বিজয়া দশমিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা। আর দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে হবে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান। গতকাল সোমবার সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় প্রতিমা বিসর্জনের দিন ট্যুরিস্ট পুলিশ কর্তৃক কঠোর নিরাপত্তার কথাও বলা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান হবে কক্সবাজারে। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে কক্সবাজারে ৪ থেকে ৫ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে আশা করছি। আর পূজা বিসর্জন অনুষ্ঠা শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ সাদা পোশাকে একাধিক গোয়েন্দা দল থাকবে। একই সঙ্গে পুরো অনুষ্ঠান এলাকা সিসি ক্যামেরা এবং ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি ও নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে।

এদিকে ১৫১টি প্রতিমা ও ১৬৪টি ঘট পূজা মিলিয়ে জেলায় ৩১৫টি মণ্ডপে চলছে দুর্গাপূজা। অষ্টমীর দিন থেকে পূজামণ্ডপগুলোতে পূজারিদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পুষ্পাঞ্জলি নেয়ার জন্য মণ্ডপে মণ্ডপে পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। প্রত্যেক পূজামণ্ডপে চলে চণ্ডীপাঠ। চণ্ডীপাঠ শেষে শুরু হয় আরতি। সেই সঙ্গে পূজামণ্ডপগুলোতে বাড়তে থাকে ভক্তদের সমাগম।

এদিকে পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেন র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, কোনো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, তাই কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল পূজামণ্ডপ নজরদারি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া এই দুর্গাপূজা উৎসবে কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর বলেন, আজ সৈকতে বিজয়াদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচদিনের দুর্গাপূজা শেষ হবে। প্রতিমা বিসর্জনের সব প্রস্তুতি শেষ। বিসর্জন অনুষ্ঠান সফল করতে পুলিশের পাশাপাশি থাকবে পূজা কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক। এখন পালা মাকে বিদায়ের। বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘বিসর্জন ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। সৈকতের পাশাপাশি শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কাজ করবে পুলিশের একাধিক টিম। এছাড়া সাদা পোশাকে নিয়োজিত থাকবে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। কেউ বিশৃঙ্খলা করা চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি আজ সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। মনে রাখতে হবে অশুভ শক্তির বিনাশ ও সত্যের আরাধনাই দুর্গোৎসবের বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশ শান্তি সম্প্রীতির দেশ। প্রতিমা বিসর্জন উৎসব ঘিরে লাখো মানুষের মিলনমেলা একথা প্রমাণ করে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত