চট্টগ্রামে গতকাল বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে। ঢাকঢোল বাজিয়ে দুর্গা মাকে বিদায় জানান ভক্তরা। এ সময় বৃষ্টিতে একাকার হয় তাদের চোখের জল। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গতকাল দুপুর থেকে পতেঙ্গা সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। একে এতে প্রতিমা বিসর্জন চলে রাত পর্যন্ত। পতেঙ্গায় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আসেন সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি সরেজমিন বিসর্জন কার্যক্রম প্রত্যক্ষ্য করেন।
ইপিজেড থানা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার শীল জানান, বেলা একটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত পতেঙ্গা সৈকতে সাতটি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতিমা মণ্ডপ থেকে আনতে একটু সময় লাগলেও ১৬ থানার তিন শতাধিক প্রতিমা এখানে বিসর্জন দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, পতেঙ্গা সৈকতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসন প্রতিমা বিসর্জনে সহায়তা করেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, মেডিক্যাল, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্টের টিমও কাজ করেছে।
এবার নগরের জেএমসেন হলসহ ১৬ থানায় ব্যক্তিগত-ঘট পূজাসহ ২৯৩টি পূজামণ্ডপ এবং চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ২ হাজার ১৭৫ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গতিনাশিনী দেবীদুর্গা ধরাধামে এসেছিলেন ঘোড়ায় চড়ে, ফিরছেন একই বাহনে।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, সাত নম্বর সতর্কতা সংকেত চলছে। বৃষ্টিও পড়ছে। তাই সুবিধাজনক স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ছাড়াও অভয়মিত্র ঘাট, বারুণী স্নানঘাট, কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন ঘাট, কাট্টলী সৈকত, কালুরঘাটসহ বিভিন্ন এলাকার পুকুর, দীঘিতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।