ঘূর্ণিঝড় হামুনের সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব কক্সবাজারের প্রকৃতির উপর হয়েছে- মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, কক্সবাজারের ৪০ হাজার মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের পক্ষে যা যা করার প্রয়োজন তাই করা হবে। জেলা প্রশাসক ইতিমধ্যে যে চাহিদা পাঠিয়েছে, তা বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও সুশীল সমাজের সাথে ঘূর্ণিঝড় হামুন-পরবর্তী মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাণ্ডবের কারণে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়া বিদ্যুৎ বন্ধ আছে। এতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অকার্যকর হয়ে গেছে, যার কারণে ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুন। অথচ মোবাইল ফোনের কোম্পানিগুলো টাওয়ারের নিজস্ব জেনারেটর রাখার কথা। এটা না রাখা দুঃখজনক।
সভায় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি আবু তাহের বক্তব্য দেন।
ওই সভায় জেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, ৯ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের নেতা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, নুনিয়ারছড়া ও সদরের নিকটবর্তী খুরুশকুল ইউনিয়ন, মহেশখালী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। ওখানে দুর্গতদের ত্রাণ ও ঢেউটিন উপহার দেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে জেলার ৯ উপজেলার জেলার ৭১টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ৩৮ হাজার ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার ৫ লাখ মানুষ।