ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদক প্রার্থী হওয়াই কাল হলো শাহ আলমের
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহ আলম (৩৫) হত্যা মামলার আসামিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোশিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত শাহ আলমের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী এ দাবি জানান। এ সময় নিহত শাহ আলমের স্ত্রী ফেরদৌস আরা বৃষ্টি, তার একমাত্র শিশু কন্য সুমাইয়া (২) এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সৈয়দ আলী বলেন, দারুস সালাম থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হওয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয় শাহ আলম। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলে স্থানীয় সেলিম মার্কেটের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিল। এছাড়া ওই মার্কেটে তার নিজের একটি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে শাহ আলম তার মালিকের সঙ্গে দারুস সালাস থানায় ছিল। সেখান থেকে তাকে ডেকে আনা হয়। পথে মাজার রোডের আগে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের বাম পাশে, একই দলের থানার সাবেক সভাপতি ইসলাম তার ছেলে শান্তসহ দল-বল নিয়ে শাহ আলমের ওপর হামলা করে। তারা শাহ আলমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাতপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এরই মধ্যে মামলা তুলে নিতে নিহতের পরিবারের কাউকে পেলে পথরোধ করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত শাহ আলমের স্ত্রী বৃষ্টি বলেন, আমার স্বামীকে কেন হত্যা করা হয়েছে আজও আমি জানতে পারিনি। কী অপরাধ করেছে আমার স্বামী, কী অপরাধ করেছি আমি ও আমার শিশুকন্যা। তিনি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
নিহতের স্ত্রী বৃষ্টি জানান, একই ওয়ার্ডে শাহ আলমসহ আরো চারজন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- শাহ আলম খুনের এজাহারভুক্ত আসামি শেখ সুমন, লিমন, শাওন ও আফজাল। তারা সবাই ইসলামের দলের সদস্য। তারা শাহ আলমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে যাওয়ার ভয়ে তাকে হত্যা করে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন শাহ আলমের পরিবার।