ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত নুরুজ্জামান (৪৫) নামে ঠাকুরগাঁওয়ের এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ২ দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বুধবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ি বিওপি’র সীমান্ত ৩৮০ নাম্বার পিলার দিয়ে মরদেহ ফেরত দেয়া হয়। নিহত যুবক আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই গ্রামের তসলিম উদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সোবহান। বুধবার সন্ধ্যায়, বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই আব্দুস সোবহানের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরে এসআই আব্দুস সোবহান নিহতের বড় ভাই নবিরুলের কাছে মরদেহ তুলে দেন।
জানা যায়, নুরুজ্জামান গরু চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত ছিল। গত সোমবার রাতে কয়েকজন মিলে ভারতীয় সীমান্তের কাছে গেলে বিএসএফ’র একটি টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় নুরুজ্জামান। পরে নিহতের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ঠাকুরগাঁও ৫০ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ন। অনুষ্ঠিত হয় পতাকা বৈঠক। বৈঠকে বিএসএফ ওইদিন নিহতের লাশ ফেরত দেয়ার কথা জানালেও ফেরত দেননি।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ বলেন, বিজিবি ও বিএসএফের সমন্বয়ে মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।