আজ ঢাবির বিশেষ সমাবর্তন

বক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঢাবি প্রতিনিধি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর ‘ডক্টর অব লজ’ (অনারিজ কজা) ডিগ্রি প্রদান করতে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ সমাবর্তন। এ সমাবর্তন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের অবস্থান করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩ আর্টিকেল ১০ (১) অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে উপাচার্য আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশেষ সমাবর্তন উপলক্ষ্যে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান উপাচার্য।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা, উন্নয়নের রোল মডেলখ্যাত ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ সমাবর্তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট এবং অতিথিসহ প্রায় ১৮ হাজার গণ্যমান্য ব্যক্তি অংশগ্রহণ করবেন। এদের মধ্যে শিক্ষার্থী ১২ হাজার ৪৯৬ জন, শিক্ষক প্রায় ৭৫০ জন, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট ১০০০ জন, অ্যালামনাই ৫০০ জন, বিদেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রায় ১৫০ জন এবং অতিথি থাকবেন প্রায় তিন হাজার।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য বলেন, সিনেট, সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সকাল ১০টায় সমাবর্তন শোভাযাত্রার আরম্ভস্থল কার্জন হল প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা জিমনেসিয়াম সংলগ্ন গেট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য সকাল ৮টায় গেট খোলা হবে এবং তারা সকাল ১০টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানস্থলে নিজ নিজ আসন গ্রহণ করার পর নিরাপত্তার স্বার্থে কোনোক্রমেই মঞ্চের আশপাশে ও অন্যান্য স্থানে ঘোরাফেরা করা যাবে না।

আখতারুজ্জামান আরো বলেন, অ্যালামনাইরা, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটরা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা সুইমিং পুল সংলগ্ন গেট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য সকাল ৯টায় গেট খোলা হবে এবং তারা সকাল ১০টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন। উপাচার্য আরো বলেন, সমাবর্তনের দিন ভিআইপি অতিথিদের গাড়ি রাখার জন্য কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ভবন (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সায়েন্স এনেক্স ভবন) মাঠে ও মোকারকম ভবন চত্বরে (কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের উত্তর পাশে) পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিদের গাড়ি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল খেলার মাঠে পার্কিং করতে হবে। সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের চলাচলের সুবিধার্থে ক্যাম্পাসের অন্য কোনো রাস্তায় গাড়ি পার্কিং না করার অনুরোধ জানান উপাচার্য।

তিনি বলেন, সমাবর্তনের দিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শাহবাগ ক্রসিং থেকে দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট থেকে দোয়েল চত্বর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে দোয়েল চত্বর, পলাশী থেকে দোয়েল চত্বর এবং নীলক্ষেত থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তায় গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য ওই দিন বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো। সমাবর্তনের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে শাহবাগ থেকে টিএসসি-দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ রাখারও অনুরোধ জানান উপাচার্য।

সমাবর্তন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে ক্যাম্পাসের স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন, সব রাজনৈতিক দল ও ভিন্নমতের সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান আখতারুজ্জামান। উল্লেখ্য, সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আইড বা পাসপোর্ট সঙ্গে আনতে হবে। আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সমাবর্তনস্থলে মোবাইল ফোন, হাতব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ছাতা ও পানির বোতল নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।