ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গাজরের উপকারিতা

গাজরের উপকারিতা

সুপার ফুড খ্যাত গাজর আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-ঠান্ডা ও কাশি থেকে রক্ষা করে। ভিটামিনের জোগান থেকে ক্যান্সারের মতো শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে এই সবজি। ভিটামিনের জোগান গাজরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। এতে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের অন্যান্য সমস্যা ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসে বাধা দেয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহায়ক গাজরে থাকা ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং রক্ত শুদ্ধিকরণে সাহায্য করে। এ ছাড়া গাজরের জুস মুখের ছোপ ছোপ দাগ, বয়সের ছাপ ও যে কোনো দাগ দূর করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ হজমের পর আমাদের শরীরে থাকা খাদ্যের উচ্ছিষ্ট বা ফ্রি র‍্যাডিক্যালস শরীরের কিছু কোষ নষ্ট করে। তবে গাজরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওইসব মৌলের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরে ক্যান্সারের কোষ উৎপাদন কমিয়ে দেয়। দয়ের সুরক্ষা শারীরিক কর্মক্ষম থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং চাপমুক্ত থাকলে হার্ট সুস্থ থাকে। গাজর ডায়েটরি ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকে। এই উপাদানগুলো ধমনির ওপর কোনো কিছুর আস্তরণ জমতে না দিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং হার্টকে সুস্থ রাখে। উজ্জ্বল ত্বক গাজরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পটাশিয়ামের মতো খনিজের উপস্থিতি আছে। এই উপাদানগুলো ত্বককে সুস্থ ও সতেজ রাখার পাশাপাশি ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, স্কিন টোনকে উন্নত করা ও ত্বকে দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে। কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ গাজর কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে ভীষণভাবে সাহায্য করে। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়ামই-এর মূল কারণ। গাজরে ক্যালরি ও সুগারের উপাদান খুবই কম। এ ছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে, ফলে ওজন কমে।

সৌন্দর্য রক্ষায় গাজর : গবেষণায় পাওয়া গেছে, গাজরে ক্যারোটিনয়েড রঞ্জক পদার্থ রয়েছে। এ উপাদান ত্বকের কোষ পরিষ্কার করে ত্বককে আকর্ষণীয় করে তোলে। ১. গাজর ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে কার্যকর। ২. গাজর ত্বক, চুল ও নখের সৌন্দর্য রক্ষা করে। ৩. গাজর ব্রণ, ত্বকের খসখসে ভাব ও ত্বকের ভাঁজ দূর করে। ৪. গাজরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে প্রলেপ দিলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

সতর্কতা : নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন এমন রোগীদের গাজরের রস সেবনে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা, এতে যকৃতে ক্ষতিকারক উপাদান তৈরি হতে পারে। তাই সকাল ও রাতে খাওয়ার পর এবং ওষুধ সেবনের দুই থেকে ৩ ঘণ্টা পর গাজর খাওয়া ভালো।

গাজরের খাদ্য ও পুষ্টিগুণ : ১০০ গ্রাম (এক কাপ) গাজর থেকে ৮ হাজার ২৮৫ মাইক্রোগ্রাম বিটাক্যারোটিন এবং ১৬ হাজার ৭০৬ ওট ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৪১ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ২.৮ গ্রাম খাদ্যআঁশ, ভিটামিন ‘বি-১’ ০.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘বি-২’ ০.০৫ মিলিগ্রাম; ২.২ মিলিগ্রাম লৌহ, ৫.৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’, ১৩.২ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘কে’, ১৯ মাইক্রোগ্রাম ফলেট, ৩২০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৩৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১২ মিলিগ্রাম ফসফরাস ও ১২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত