আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক দল আন্দোলনের নামে সহিংসতা শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে গত শনিবার একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে। এ দেশে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার ত্বরিত গতিতে করা হবে, কথা দিয়ে গেলাম।
গতকাল দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর মারিয়ালীতে নবনির্মিত রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। রাজনীতি গণতন্ত্রের একটা অংশ। রাজনীতিতে অনেক কথা, দেশের মানুষের কল্যাণের কথা, দেশের মানুষের উন্নয়নের কথা বলতে কারো বাধা নেই। কিন্তু রাজনীতির নামে যদি সহিংসতা চালানো হয় তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব ব্যবস্থা নিতে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত করেছেন। তিনি দেশের উন্নয়ন করেছেন। এ উন্নয়নকে ব্যাহত করার জন্য বাংলাদেশ যেন নিজের পায়ে না দাঁড়াতে না পারে, যেন ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হতে না পারে সেজন্য বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষ খুন করছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউ ব্যাহত করতে পারবে না, কাউকে ব্যাহত করতে দেওয়া হবে না। আপনারা সতর্ক থাকবেন, ভীত হবেন না, আশাহত হবেন না, কেউ আমাদের দমাতে পারবে না। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্যই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছিলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ব্যবস্থা করেছেন। দেশে আইনের শাসন চালু থাকুক, এটা আমাদের সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। জনগণের কাছে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় এদেশে নির্বাচন হবে। কারণ রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছে জনগণ। তাই জনগণের ইচ্ছায় রাষ্ট্র পরিচালিত হবে এবং সংবিধান অনুসারে প্রতি ৫ বছর পরপর জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করবেন। তারা এ রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (নিবন্ধন) উম্মে কুলসুম, জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মো. সফিকুল ইসলাম, জেলা রেজিস্ট্রার সাদিকুল নাহার প্রমুখ। এর আগে প্রধান অতিথি ও অনুষ্ঠনের সভাপতি ফিতা কেটে এবং ফলক উন্মোচন করে জেলা রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।