চট্টগ্রামের অবরোধ পরিস্থিতি

দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি ছেড়েছে সব ট্রেন তিন বাসে আগুন

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধ চট্টগ্রামে গতকাল ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহন বেড়ে যায়। নগরজুড়ে সমানে চলেছে রিকশা, অটোরিকশা, টেম্পু, মিনিবাসসহ ব্যক্তিগত গাড়ি। সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম থেকে যথাসময়ে ছেড়ে গেছে সবকটি ট্রেন। একই দিন ৯টা পর্যন্ত সব ট্রেন যথাসময়ে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে চলেনি দূরপাল্লার বাস কোচ। এদিকে অবরোধের আগের রাতে চট্টগ্রামে তিনটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে গত সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরের গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনিবাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নির্বাপণ করে। এরপর গতকাল ভোর রাত সোয়া ৩টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার চট্টগ্রাম-হাটহাজারী রোডের ট্যানারি বটতলা এলাকায় আরেকটি সিটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ১০ নম্বর বাসটিতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

অবরোধ শুরুর পর গতকাল সকাল ৬টার দিকে নগরের ইপিজেড থানার সল্টগুলা ক্রসিং এলাকায় একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ জানায়, বাসটি যাত্রী তোলার জন্য দাঁড়ায়। ওই সময় যাত্রীবেশে দুজন উঠে বাসে আগুন দিয়ে দ্রুত নেমে পড়েন।

অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুই প্লাটুন করে মোট চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। গত রোববার রাত ৯টা থেকে দুই উপজেলায় বিজিবির টিম টহল শুরু করে। দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন নামে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে নানা নাশকতা হতো। এবারো এ রকম আশঙ্কা থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।