বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রথম দিন সিরাজগঞ্জে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়। মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল কিছুটা কম হলেও অনান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। সেইসাথে চলেছে পণ্যবাহী পরিবহন। গতকাল সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ ভেঙে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া চালকদের হাতে নাস্তার প্যাকেট তুলে দেন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। এ সময় চালকদের গাড়ি চালাতে উৎসাহ দেয়া হয় এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য ভোর থেকেই মাঠে ছিল আওয়ামী লীগ। এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পীর সুমন, যুব মহিলা লীগের সভাপতি রোমানা রেশমা, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন, আতাউর রহমান বরাত, শ্রমিক লীগ নেতা রতু খান ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে পৌর বাস টার্মিনাল, বাজার স্টেশন, বিভিন্ন সিএনজি স্ট্যান্ড ও রেলগেইট এলাকায় গাড়িচালকদের রাস্তায় নামতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। ট্রাক, বাস, সিএনজি, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, অটোরিকশাচালক যারা অবরোধকে উপেক্ষা করে রাস্তায় গাড়ি চালিয়েছেন তাদের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নাস্তা দেয়া হয়। বিএনপির অবরোধ ভেঙে ধীরে ধীরে রাস্তায় নামতে থাকেন গাড়ি চালকরা। সিরাজগঞ্জ শহরে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, জনগণের নিরাপত্তা স্বার্থে মহাসড়ক, জেলা উপজেলা শহরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মহাসড়কের ২/১টি স্থানে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা পিকেটিংয়ের চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন এবং তাদের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিএনপি-জামাতের আরো ১৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার : সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের আরো ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত রোববার রাতে এ অভিযানে বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে গত ৩ দিনে গ্রেপ্তার সংখ্যা ১৯৯ এ। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, রায়গঞ্জে সাত, বেলকুচিতে এক, উল্লাপাড়ায় তিন, এনায়েতপুরে চার, সলংগায় এক ও শাহজাদপুর উপজেলায় একজন বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা ও নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।