বেতন বৃদ্ধির দাবি
গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি
বেতন বাড়ানোর দাবিতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলমান আন্দোলনে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা ও মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে গতকালও বিক্ষোভ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বাজার এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা মহাসড়কে চলাচলকারী ১০-১২টি যানবাহন ভাঙচুর করে। শিল্প পুলিশ ও জেলা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এতে আন্দোলনকারী শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে ধাওয়া করে।
পরে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে উপজেলার কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক বাজার এলাকায় অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান নেয়। এ সময় শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। শ্রমিকরা ফাঁড়ির প্রবেশ গেট, ফাঁড়ির জানালার গ্লাস এবং সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. সানোয়ার হোসেন আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। কালিয়াকৈরে মৌচাক ফাঁড়ি এলাকায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অবস্থান নেয়। তবে পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি জানেন না বলে জানান। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, ‘কয়েক হাজার শ্রমিক মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলছে, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ও তেলিচালা এলাকা থেকে শ্রমিক আন্দোলনের শুরু হয়। ওই দিন স্থানীয় পাঁচটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ শুরু করে। পরে শ্রমিক বিক্ষোভ গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থেকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, নাওজোর, ভোগড়া, চান্দনা চৌরাস্তা, কলম্বিয়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
গতকাল সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। গাজীপুর মহানগর নলজানী, চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া, বাসন সড়ক এলাকায় শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শিল্প পুলিশ, মহানগর পুলিশ ও জেলা পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল। পাশাপাশি র্যাবের টহল ছিল। গাজীপুরের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘শ্রমিকরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে মিছিল করতে থাকে। অধিকাংশ কারখানা বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের সংখ্যা কিছুটা কম।