প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে আমাদের স্মার্টফোনে ধুলা-বালি জমে নোংরা হয়। তাই নিয়মিত স্মার্টফোন পরিষ্কার করা উচিত। কিন্তু ফোন পরিষ্কার করার সঠিক উপায় অনেকেই জানেন না। ফলে ফোন ঠিকঠাক পরিষ্কার তো হয়ই না, উপরন্তু ফোন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্মার্টফোন পরিষ্কার করা একেবারেই কোনো ঝামেলার কাজ না। শুধু বিশেষ কিছু দিকে খেয়াল না রাখলেই আপনি বিপদে পড়বেন। তাই স্মার্টফোন পরিষ্কার করার আগে কিছু টিপস জেনে নিন। বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন, স্মার্টফোন পরিষ্কার করলে তা খারাপ হয়ে যেতে পারে। স্পিকারে পানি ঢুকে যেতে পারে। কিন্তু আপনার সাধের ফোনটিতে কত পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু জমে রয়েছে, তার কোনো ধারণা আছে? অনেকেই নিয়মিত স্মার্টফোন পরিষ্কার করতে চান না। নিয়মিত পরিষ্কার করলে স্মার্টফোন বা যে কোনো ডিভাইসকে নতুনের মতো রাখা যায়। স্পিকার থেকে শুরু করে চার্জিং পোর্ট সবখানেই ধুলা, ময়লা জমতে থাকে। স্মার্টফোনের বাইরের অংশটি আলতো করে পরিষ্কার করে নিন। তার জন্য একটি নরম কাপড় ব্যবহার করুন। যে কোনো ধুলা, আঙুলের ছাপ বা দাগ, ফোনের পিছনে এবং পাশের অংশ পরিষ্কার করুন। পরিষ্কার পোর্ট, স্পিকার এবং হেডফোন জ্যাকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ধুলা-বালি জমে। ফলে সেসব পরিষ্কার রাখা খুবই দরকার। না হলে দিনের পর দিন সেগুলোর কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। পরিষ্কার পোর্ট, স্পিকার এবং হেডফোন জ্যাকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ধুলো, বালি জমে। ফলে সেসব পরিষ্কার রাখা খুবই দরকার। নাহলে দিনের পর দিন সেগুলোর কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। একটু তুলা নিয়ে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল দ্রবণে মিশিয়ে পরিষ্কার করে নিন। শুধু খেয়ালে রাখবেন, যাতে অত্যধিক তরল আপনার ফোনের পোর্ট, স্পিকার এবং হেডফোন জ্যাকে না ঢোকে। আপনার স্মার্টফোনের স্ক্রিনে দাগ এবং স্ক্র্যাচ এড়াতে, একটি স্ক্রিন প্রটেক্টর কিনে নিন। এতে ভুল করে যদি হাত থেকে ফোন পড়েও যায়, তাহলে স্ক্রিনটির কোনোভাবেই ক্ষতি হবে না। এছাড়াও মুছে ফেলার পর মাইক্রোফাইবার কাপড়ের শুকনো অংশ দিয়ে স্ক্রিনটি পরিষ্কার করে নিন। তার পর হাওয়ায় শুকানোর জন্য রেখে দিন। তবে কোনোভাবেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।