ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ

ইলিশের সন্ধানে সাগরে জেলেরা

ইলিশের সন্ধানে সাগরে জেলেরা

ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার উপর ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হলো গত মধ্যরাতে। তাই ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে রওয়ানা দিয়েছে জেলেরা। কক্সবাজারের জেলে পল্লিগুলোতে চলছে উৎসবের আমেজ। জেলে, ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়িদের আশা; জালে ধরা পড়বে প্রচুর ইলিশসহ সামুদ্রিক অন্যান্য প্রজাতির মাছ। এতে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটস্থ বাঁকখালী নদীর মোহনায় দেখা মিলে কক্সবাজারের জেলে পল্লিগুলোতে চলছে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি। আর জাল, চাল-ডাল-তেলসহ নানা উপকরণ এবং জ্বালানি তেল নিয়ে জেলে ও ট্রলার মালিকদের ব্যস্ত সময়। মধ্যরাতের পর এসব ট্রলার যাত্রা দেয়া কথা থাকলেও অনেকেই যাত্রা দিয়েছে দুপুরের পর। জেলেরা বলছেন, যাত্রা দেয়া গভীর সাগরে পৌঁছতেই মধ্যরাত হয়ে যাবে। মূলত তখনই জাল ফেলে মাছ ধরা শুরু করবেন। ট্রলার মালিক জয়নাল আবেদিন বলছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য এরই মধ্যে তারা সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় গত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর তারা কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশসহ অন্য প্রজাতির মাছ ধরতে পারেননি। এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা তারা বুক বেঁধেছেন। ট্রলার যাত্রা দেয়া শুরু করেছে এরই মধ্যে। কক্সবাজার দর উপজেলার জৈষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা তারাপদ চৌহান বলছেন, মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন নিবন্ধিত জেলেদের সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জেলার আর কিছু জেলে অনিবন্ধিত রয়েছে। ভবিষ্যতে এসব জেলের নিবন্ধনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। তারা আশা করছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় চলতি মৌসুমে ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ ধরার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, কক্সবাজার জেলায় জেলের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২২ সহস্রাধিক। আর নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ট্রলারের সংখ্যা অন্তত ৬ হাজার। কক্সবাজার মৎস্য অবতারণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. বদরুদ্দোজা জানান, সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের ফলে সাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত