আজ ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’। ‘বঙ্গবন্ধুর ভাবনা সংবিধানের বর্ণনা’ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে এ বছর দিবসটি পালন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংবিধান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
‘জাতীয় সংবিধান দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বেলা ১১টায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ রাজধানীর হোটেল র্যাডিসান ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে একটি সেমিনারের আয়োজন করেছে। এতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের মো. মইনুল কবির এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এসএম মাসুম বিল্লাহ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থা থেকে আগত অতিথিবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সুধীজনরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া আজ বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি উজ আহমেদ মুথাসিম আদনান প্রধান অতিথি, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সভাপতি এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার ও ব্যানার প্রদর্শন এবং লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারা দেশের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এবছর দ্বিতীয় বারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। গত বছর ৪ নভেম্বর তারিখকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় সংবিধান দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হলে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হয়।