ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শ্রমিক আন্দোলনকে পুঁজি করে নাশকতা করলে কঠোর ব্যবস্থা : র‌্যাব

শ্রমিক আন্দোলনকে পুঁজি করে নাশকতা করলে কঠোর ব্যবস্থা : র‌্যাব

শ্রমিক আন্দোলনকে পুঁজি করে কোনো ধরনের নাশকতাণ্ডসহিংসতার মাধ্যমে পোশাক শিল্পের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) এর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ আশুলিয়ার নবীনগর কার্যালয়ে মিরপুর, সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের কোনাবাড়ী, ভোগড়া ও সফিপুর এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষে সহিংসতা হওয়া গার্মেন্টসগুলো পরিদর্শন ও র‌্যাবের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে পর্যালোচনা-সংক্রান্ত ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি পোশাক খাতকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে পোশাক শ্রমিকদের উসকে দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবর থেকে দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টের পোশাক শ্রমিকরা তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল গত ৩১ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরের একটি গার্মেন্টে সংঘর্ষে জোসনা নামে এক পোশাক শ্রমিককে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে এ বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজধানীর মিরপুরে পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলন করার ফলে বিষয়টি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়।

এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কালশী এলাকায় নিখোঁজ পোশাক শ্রমিক জোসনা বেগমের খোঁজ পায় র‌্যাব। জোসনা বেগম সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে তার পরিবারের সাথে বসবাস করছিলেন। এছাড়া যেসব দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের অপচেষ্টা রোধপূর্বক জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে নজরদারি অব্যাহত রাখছে র‌্যাব।

তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, শ্রমিক ভাই ও বোনেরা আপনারা কোনো দুষ্কৃৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহলের উসকানি, মিথ্যা তথ্য, গুজব, প্রলোভনে পড়ে আন্দোলন, দাঙ্গা, হাঙ্গামা ও কারখানায় অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হবেন না।

তিনি বলেন, গার্মেন্টসে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার আসামি ও জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে র‌্যাব। এছাড়া গার্মেন্টসে নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে কেউ মদত দিচ্ছে কি না, তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। গার্মেন্টসের বিভিন্ন সংগঠন বা শ্রমিক সংগঠনগুলো যারা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে কাজ করছে র‌্যাব তাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে। এছাড়া গার্মেন্টস সেক্টরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে র‌্যাব ফোর্সেস কর্তৃক সময়ে সময়ে অবহিত করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও যেন কোনো দুষ্কৃতিকারী ও সার্থান্বেষী মহল পোশাক শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে এ ধরণের নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য র‌্যাব ফোর্সেস এর নজরদারী অব্যাহত থাকবে।

তিনি এসময় বলেন, এই চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে র‌্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম ও সাইবার ওয়ার্ল্ডে নজরদারি তৎপরতা বাড়িয়েছে।

মতবিনিময়কালে র‌্যাব-৪ এর আশুলিয়ার নবীনগর ক্যাম্পের ইনচার্জ কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খানসহ র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত