বিষফোঁড়া হলে করণীয়
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
প্রায়ই অনেকের বিষফোঁড়া হওয়ার কথা শোনা যায়। পশ্চাতদেশ, বগল, ঘাড়, কনুইসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এই ফোঁড়া হয়ে থাকে। প্রচণ্ড কষ্টকর ব্যথা পোহাতে হয় এটি হলে। বিষফোঁড়া কী? তীব্র বেদনাসহ ফোলা বা ত্বকে একাধিক ফোঁড়া, যারা সাধারণত স্টাফালোলোকোক্কাস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত একটি সাংঘাতিক ধরনের ফোঁড়াকে বিষফোঁড়া বলা হয়। এই ফোঁড়ার অনেক ছোট ছোট মুখ থাকে। একেই মূলত কার্বাঙ্কল বলে। কয়েকদিনের মধ্যে কার্বাঙ্কল যেমন সেরে যেতে পারে, তেমনি গুরুতর আকারও নিতে পারে। এজন্য এটি নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিষফোঁড়া কেন হয়? মূলত, যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদেরই বিষফোঁড়া হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তির দীর্ঘ বা জটিল রোগভোগের পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ত্বকের এক কিংবা একাধিক রোমকূপকে কেন্দ্র করেই এই বিষফোঁড়া হয়ে থাকে। অনেক সময়ে, মানুষের ত্বকে স্টাফালোলোকোক্কাস অরিউস নামক ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এটি ত্বকের রোমকূপের ছিদ্র দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে ইনফেকশন তৈরি করে। এরপর ব্যাকটেরিয়া, শরীরের মৃত কোষ ও ত্বক-কোষ মিশে পুঁজ তৈরি হয়ে ‘সোয়েলিং’ শুরু হয়। যা ত্বকের বাইরে বেরিয়ে আসতে চায়।
বিষফোঁড়া থেকে মুক্তির উপায় : সবচেয়ে বেশি কষ্ট পোহাতে হয় পশ্চাতদেশে বিষফোঁড়া হলে। আরামে বসা যায়, কাজ করা যায় না। তার সঙ্গে যন্ত্রণা তো আছেই। এমন বিষফোঁড়া হলে কী করবেন? চলুন জানা যাক- বেশিরভাগ সময় জীবাণুর কারণেই এই ফোঁড়া হয়ে থাকে। তাই জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করুন। এতে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার থাকবে। এবার একটি পরিষ্কার সুতি কারণ গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন। এই কাপড় দিয়ে ফোঁড়ায় আলতো করে স্যাক দিন। এই তাপে ফোঁড়াটি গলে যেতে পারে। গলে গেলে ফোঁড়া থেকে রক্ত বের হতে পারে। সেজন্য আগে থেকে প্রস্তুত থাকুন। ওই অংশে জমাট থাকা রক্ত বেরিয়ে যেতে দিন। এবার ফোঁড়ার চারপাশে অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম লাগিয়ে নিন। এতে নতুন করে ফোঁড়া হওয়ার আশঙ্কা কমবে। সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মাথায় ফোঁড়া আপনাআপনি গলে যায়। অনেকে সময়ের আগেই হাত দিয়ে চেপে ফোঁড়া গলানোর চেষ্টা করেন। এমনটা না করাই ভালো। এতে সংক্রমণ বাড়তে পারে। বরং গরম পানিতে ভেজা কাপড় দিয়ে গলালে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে।