ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুর্ঘটনায় পড়লে প্রিয়জনদের জানাবে ফোন

দুর্ঘটনায় পড়লে প্রিয়জনদের জানাবে ফোন

গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়লে ফোনের মাধ্যমে পৌঁছাবে বার্তা। বড় বিপদ এড়ানো যাবে প্রযুক্তির সাহায্যে। গুগল পিক্সেলের ফোনে রয়েছে এমনই আধুনিক ও উন্নত পরিষেবা। এবার তা চালু হয়েছে ভারতে। ২০১৯ সালে গুগল এই কার ক্র্যাশ ডিটেকশন ফিচারের ঘোষণা করেছি। তবে প্রাথমিকভাবে এই ফিচারের পরিষেবা সীমিত ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে এবার ভারতে চালু হয়েছে এ পরিষেবা। ভারতের পাশাপাশি অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ডের বাসিন্দারাও পাবেন গুগল পিক্সেল ফোনের এই বিশেষ ফিচারের সুবিধা। কোনো কোনো গুগল পিক্সেল ফোনে কার ক্র্যাশ ডিটেকশন ফিচার কাজ করবে, দেখে নেওয়া যাক তালিকা- ভারতের ইউজারদের জন্য এই ফিচারের সুবিধা পাওয়া যাবে পিক্সেল ৪এ, পিক্সেল ৬এ, পিক্সেল ৭, পিক্সেল ৭ প্রো, পিক্সেল ৭এ, পিক্সেল ৮ এবং পিক্সলে ৮ প্রো- এই ফোনগুলোতে। শুরুতে ভারতীয়রা এই ফিচারের সুবিধা পাবেন ইংরেজিতে। হিন্দিতে এখনও গুগলের এই ফিচারের পরিষেবা চালু হয়নি। ইংরেজিসহ মোট ১১টি ভাষায় এই ফিচারের সুবিধা পাওয়া যাবে। উল্লিখিত ফোনগুলো ছাড়াও গুগল ৪এ এবং পরবর্তী সব মডেলে এই কার ক্র্যাশ ডিটেকশন ফিচার কাজ করবে। ইংরেজি ছাড়াও এই ফিচারের পরিষেবা চালু হয়েছে ডাচ, ইটালিয়ান, জাপানিজ, ড্যানিশ এবং আরো কিছু ভাষায়। পিক্সেল কার ক্র্যাশ ডিটেকশন ফিচার আসলে কী? নির্দিষ্ট কিছু পিক্সেল ফোনে গুগলের পক্ষে এই ফিচার আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকবে। যদি আপনার গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে, তাহলে প্রাথমিক সাহায্যটুকু পাওয়া যাবে এই ফিচারের সাহায্যে। এই ফিচার সঠিকভাবে তখনই কাজ করতে পারবে যখন আপনার ডিভাইসে লোকেশন, ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি, মাইক্রোফোন পারমিশন এইসব ফিচার চালু বা এনাবেল থাকবে। এছাড়াও সঠিকভাবে যেন সিম কাজ করে সেটাও দেখে নেওয়া প্রয়োজ। কার ক্র্যাশ বিষয়টি ডিটেক্ট করার জন্য গুগলের এই সেফটি ফিচার এক্সিলারোমিটার, লোকেশন, মাইক্রোফান এইসব ব্যবহার করবে। যদি কোনো কার ক্র্যাশ অর্থাৎ দুর্ঘটনা ডিটেক্ট হয়, ফিচারে ধরা পড়ে তাহলে আপনার পিক্সেল ফোন থেকে সরাসরি স্থানীয় এমার্জেন্সি নম্বরে (যেখানে ইউজার রয়েছেন) ফোন চলে যাবে। ভারতের ক্ষেত্রে এই নম্বর ১১২। একবার ফোন গেলে দেখা যাবে ফোনে ‘আই অ্যাম ওকে’ অপশন দেখতে পাবেন। যদি ভুয়া ঘটনা হয়, তাহলে ইমার্জেন্সি ডায়াল বন্ধ করার জন্য ৬০ সেকেন্ড পাওয়া যাবে। আর যদি আপনি ‘আই অ্যাম ওকে’ অপশনে ক্লিক করেন তাহলে ‘নো ক্র্যাশ’, ‘মাইনর ক্র্যাশ, কল ১১২’- এই তিনটি অপশন আসবে আপনার সামনে, পরিস্থিতি অনুসারে বেছে নিতে পারবেন যেকোনো একটা। যদি ইমার্জেন্সি ডায়াল করে থাকেন তাহলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা, ফায়ার সার্ভিস কিংবা পুলিশ- কোনো সাহায্য আপনার প্রয়োজন সে ব্যাপারেও জিজ্ঞেস করা হবে। যদি আপনার কারো সঙ্গে কথা বলার অবস্থা না থাকে, তাহলে এমার্জেন্সি ডায়ালের সঙ্গে এইসব প্রম্পোটস পাবেন আপনি, সেখান থেকে বেছে নিতে হবে। এই ফিচার এনাবেল থাকলে এবং যদি কার ক্র্যাশ হয়, আর অন্য কারো কাছে আপনার ফোন থাকে তাহলে আপনার ফোনের লক স্ক্রিনে মেসজে এবং ইমার্জেন্সি ডিটেলস দেখতে পাবেন ওই দ্বিতীয় ব্যক্তিও। পার্সোনাল সেফটি অ্যাপের এই ফিচার ডিসেবল অর্থাৎ বন্ধ করে রাখার সুবিধাও থাকবে আপনার হাতে। অনেক দেশেই ভুয়া ইমার্জেন্সি ডায়াল নিয়ে বেশ কড়াকড়ি রয়েছে। তাই এই ফিচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু বাড়তি সতর্কতা নেওয়াই ভালো। যদি কোনোভাবে এমার্জেন্সি কল চলেও যায় তাহলে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে বন্ধ করে দিন। কীভাবে পিক্সেল কার ক্র্যাশ ডিটেকশন ফিচার চালু করবেন : এর জন্য আপনাকে পিক্সেল ফোনের পার্সোনাল সেফটি অ্যাপে যেতে হবে। এখানে ফিচার্স অপশনে ট্যাপ করে স্ক্রল ডাউন করলে দেখতে পাবে কার ক্র্যাশ ডিটেকশন অপশন। ডিফল্ট হিসেবে এই ফিচার ডিসেবল থাকবে। আপনি এটা এনাবেল করলে ফিচার সেট আপের জন্য ডিভাইস আপনার কাছে লোকেশন, মাইক্রোফোন, ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি এসব অ্যাকসেস পাওয়ার জন্য অনুমতি চাইবে। এইসব অনুমতি পেয়ে গেলেই চালু বা অন হয়ে যাবে ফিচার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত