বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। গুগলের এই প্ল্যাটফর্মে ভিডিও আপলোড করে আয় করা যায়। ভিউয়ের ওপর আয় নির্ভর করে। তাই অনেকেই বেশি ভিউ পাওয়ার জন্য অন্য কারো কনটেন্ট বা গান ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন। ইউটিউব এই ধরনের ভিডিওতে একটি কপি রাইট স্ট্রাইক করে, তারপরও সেই ভিডিওতে প্রচুর ভিউ এসে গেলেও বা ভাইরাল হয়ে গেলেও সেই ব্যক্তি আর কোনো রকম সুবিধা পান না। তাই ইউটিউব হোক বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্ম, কেউই চায় না কষ্ট করে বানানো ভিডিওতে কপিরাইট স্ট্রাইক আসুক। তাই যেকোনো ভিডিও বানানোর সময় বিশেষ কিছু দিকে নজর রাখতে হয়। না হলেই বিপদ। কীভাবে কপিরাইট স্ট্রাইক থেকে বাঁচবেন? কপিরাইট স্ট্রাইক সরিয়ে ফেলার একমাত্র উপায় হলো সেই ভিডিওটি মুছে ফেলা বা ইউটিউবের কাছে ই-মেইল করা, যাতে আপনি স্পষ্ট করতে পারেন যে, আপনার ভিডিওটিতে এমন কিছু নেই, যার জন্য আপনাকে কপিরাইট স্ট্রাইক দেওয়া হয়েছে। ইউটিউবের স্ট্রাইক উপেক্ষা করলে, ইউটিউব সেই ভিডিও বা আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে পারে।
কপিরাইট মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন : ভিডিওটি মুছে ফেলার আগে, আপনার ভিডিও কপিরাইট মুক্ত কি না, তা যাচাই করুন। যদি দেখেন, আপনার ভিডিওতে এমন কিছুই নেই, যার জন্য কপিরাইট দেওয়া যেতে পারে, তাহলে কপিরাইট মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অর্থাৎ, যিদি আপনার ভিডিওটিতে কপিরাইট দিয়েছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কত দিন সময় লাগে? যদি আপনার চ্যানেলটি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত থাকে, তবে আপনাকে এর জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়। চ্যানেলের বিরুদ্ধে কপিরাইট স্ট্রাইকের জন্য আপনি যদি তিনটি স্ট্রাইক পান, তাহলে আপনাকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলতে হবে বা সাত দিনের মধ্যে সেই অংশটুকু সরাতে হবে। এমনটা না করলে আপনার চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাবে