সিরাজগঞ্জে গো-খাদ্য সংকট ও তার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে গো-খামারিরা এখন বিপাকে পড়েছে। নিম্নাঞ্চলে বন্যা-পরবর্তীতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৭ হাজার গো-খামার রয়েছে। এসব খামারে প্রায় ১৬ লাখ গবাদিপশু রয়েছে। এসব খামারে বিপুল পরিমাণ গো-খাদ্য প্রয়োজন হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট হাট-বাজারে গো-খাদ্যের সংকট ও তার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে ছোট-বড় খামারিরা এখন বিপাকে পড়েছে। এ জেলায় বেশি গো-খাদ্য সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, এনায়েতপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। অনেক খামারি বলছেন, গবাদিপশুকে দানাদার খাদ্যের পরিবর্তে ঘাস জাতীয় খাদ্য দেয়া হচ্ছে এবং অনেক নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানিতে ঘাসের জমি তলিয়ে যাওয়ায় দানাদার খাদ্য দেয়া হচ্ছে। এবার নিম্নাঞ্চলে বন্যা-পরবর্তীতে গো-খাদ্য সংকটের সম্ভাবনা নয়। তবে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ৩৭ কেজি ওজনের এক বস্তা গমের ভুসি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকায়, ৪০ কেজি ওজনের এক বস্তা ধানের তুষ ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকায়, ৩০ কেজি ওজনের এক বস্তা মুসুরের ভুষি ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায়, ৭৪ কেজি ওজনের এক বস্তা তিলের খৈল ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায়, ২৫ কেজি ওজনের এক বস্তা খেসারির ভুষি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়, ২৫ কেজি ওজনের এক বস্তা ভুট্টার ভুষি ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকায়, ৭৪ কেজি ওজনের এক বস্তা সরিষার খৈল সাড়ে ৩ হাজার টাকা, এছাড়া এক তার খড় ৮/৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া গো-খাদ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে ভুষি, ফিড, খৈল, সয়াবিন ও খড়সহ সব ধরনের গো-খাদ্যর দাম বেড়েছে। তবে এখনো সহনশীলভাবেই এসব খাদ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে তারা দাবি করেন। এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, বাজারে দানাদার খাদ্য ভুষি, খৈল, সয়াবিন জাতীয় খাদ্যের দাম বেড়েছে। এজন্য দানাদার খাদ্যের উপর নির্ভরশীল না হওয়া ভালো। খামারের গবাদিপশুকে এখন কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে আউশ আমন ধান কাটা শুরু হলেই এ পরিস্থিতি থাকবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।