বিএনপি নেতা হাবিবকে হাইকোর্টে হাজিরের নির্দেশ

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

উচ্চ আদালতের নির্দেশে হাজির না হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে ধরে হাইকোর্টে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন। আগামী ৭ ডিসেম্বর তাকে হাজির করতে পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ (আইজি) সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার ঘটনায় তলবে হাজির হননি হাবিবুর রহমান হাবিব। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট পুলিশের সঙ্গে কথা বলে গতকাল তার অবস্থান জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। সে অনুযায়ী গতকাল বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করা হয় এবং আদালত হাবিবকে আদালতে ধরে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই বক্তব্য উপস্থাপনের পর গত ১৫ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ৬ নভেম্বর হাবিবুর রহমানকে তলব করেন। হাবিব বা তার কোনো প্রতিনিধি ওইদিন আদালতে হাজির হননি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, আদালত অবমাননার অভিযোগে হাবিবুর রহমান হাবিবকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার একটা নির্দেশনা ছিল। রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে- উচ্চ আদালতের এ আদেশের কপি তার স্ত্রী গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির হননি। যে কারণে আদালত হাবিবের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৮ নভেম্বর জানাতে বলেন।

বিটিআরসি আদালতে জানিয়েছে, সেই আপত্তিকর বক্তব্য তারা অপসারণ করেছেন। বিচারিক আদালতে জজ থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

গত ১৫ অক্টোবর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল ইসলাম জানান, হাবিবুর রহমান হাবিবের বক্তব্যের লিংক ইউটিউবে প্রচারিত হতে থাকলে সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। বিষয়টি হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় উত্থাপিত হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন নেয়া হবে না- সে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয় ৬ নভেম্বর।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সম্পর্কে একটা বক্তব্য দেয়া হয়েছে। সে বক্তব্যটা এতটাই অশালীন, যেটা স্বাভাবিকভাবে কোনো শিক্ষিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে মানায় না।