জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমদের নিয়োগ বাণিজ্য, নতুন ক্যাম্পাস ও বর্তমান ক্যাম্পাসে নানান কাজে দুর্নীতি এবং চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর পরিবারের প্রতিষ্ঠান ‘এডিএল’কে কাজ পাইয়ে দেয়াসহ সকল অনিয়ম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, সিনিয়র কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা মিলে কোষাধ্যক্ষের অনিয়মগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি আকারে পাঠান। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প স্থাপন কেরানীগঞ্জ এ সাকা চৌধুরীর পরিবারের প্রতিষ্ঠান ‘এডিএল’ কে লেনদেনের মাধ্যমে বার বার কাজ পাইয়ে দিতে সহায়তা প্রদান করেন বর্তমান ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমদ। তিনি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক থাকায় পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য এরই মধ্যে তিনি মাস্টার মাইন্ড হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন। এসব কারণে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক রায়ে জবির বর্তমান কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দিন আহমদকে অদক্ষ প্রশাসক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত নেতৃবৃন্দণ্ডএর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন। চিঠিতে কোষাধ্যক্ষের ব্যক্তিগত আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে বিএনপিপন্থি শিক্ষক সমিতির সাদা দলের আদর্শে উজ্জীবিত ছিলেন। এমনকি তিনি সাদা দলের পক্ষ থেকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনও করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য আশপাশে এমন এমন একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে রেখেছেন যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি চারপাশে দুর্নীতির জাল এমনভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছেন যা ভবিষ্যৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির নেপথ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে আমরা মনে করি। তাই ট্রেজারারের দুর্নীতির বিষয়ে যদি গোয়েন্দা সংস্থা বা বিভাগীয় তদন্ত করা হয়, তাহলে তার দুর্নীতির বিষয় আরো ফুটে উঠবে।