শীতের সময় প্রায় এসেই পড়েছে। বাজারে উঠতে শুরু করেছে নানা জাতের ফল। পরিচিত একটি ফল আতা। এটি নানা নামে পরিচিত। তবে এর উপকারিতার শেষ নেই। শীতের শুরুতে আতা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করেন চিকিৎসকরা। এই ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হৃদপি- আর মস্তিষ্কের জন্য আতা বেশ উপকারি। এছাড়া এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ইংরেজিতে আতাকে বলে ‘কাস্টার্ড অ্যাপেল’। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি ৬ এবং আয়রনসহ অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান।
উচ্চ রক্তচাপ কমায় : উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে আতা। এই ফলে উপস্থিত পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তনালীকে শিথিল করে। ফলে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, এই ফলটি বিপাকক্রিয়াও চাঙা রাখে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় আতা রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। ডায়েরিয়ার মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলায় এটি।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : গবেষণা অনুযায়ী, আতা অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর ফল। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এটি। আতায় উপস্থিত ভিটামিন সি হৃদযন্ত্রের জন্য যেমন ভালো, তেমনই উপকারী ডায়াবেটিসের জন্যও।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে আতা খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি’র খুব ভালো উৎস এটি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এই ভিটামিন। শীতে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায় এটি।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে : শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভরপুর আতা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, লুটেইন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে পারে। বয়সজনিত ম্যাকুলার অবক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে পারে এটি। লুটেইন চোখের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
মেজাজ ফুরফুরে রাখে : ভিটামিন বি ৬ (পাইরিডক্সিন)-এর চমৎকার উৎস আতা। এই ভিটামিন বি ৬, সেরোটোনিন এবং ডোপামিনসহ নিউরোট্রান্সমিটার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা মানুষের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করে। এই ভিটামিনের অভাব হলে মেজাজ খারাপ হতে পারে। আতা মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করতে এবং মেজাজ উন্নত করতে ভূমিকা রাখে।