স্বাধীনতা-পরবর্তী একাধিক সরকার ৩৫ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। কিন্তু কোনো সরকারই কক্সবাজারে রেল সংযোগের বিষয়ে মাথা ঘামায়নি। তবে, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরই রেল সংযোগে সারা দেশের সঙ্গে কক্সবাজারকে যুক্ত করতে প্রকল্প হাতে নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। সেই প্রকল্পের হাত ধরেই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মানের আইকনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারে। এই স্টেশনে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সব ধরনের ব্যবস্থা। শুধু রেল যোগাযোগের জন্য নয়, পর্যটনের নতুন অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচ্য হচ্ছে দেশের একমাত্র আইকনিক এই রেলস্টেশন। এমনটি অভিমত কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. খোরশেদ আলম ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। ব্রিটিশ ও স্বাধীনতা-পরবর্তী ১০০ বছরের প্রতীক্ষার পালা শেষ হচ্ছে আজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নান্দনিক এই আইকনিক রেলস্টেশন ও দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নবনির্মিত রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ঝিলংজায় ২৯ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে চোখ ধাঁধানো আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন। স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২১৫ কোটি টাকা। পুরো স্টেশনের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চারপাশে ব্যবহার করা হয়েছে কাচ। ছাদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক স্টিল ক্যানোফি। ফলে দিনের বেলা বাড়তি আলো ব্যবহার করতে হবে না স্টেশনে। আর অত্যাধুনিক নির্মাণশৈলীর কারণেই একে বলা হচ্ছে গ্রিন স্টেশন। দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, স্টেশনে ফুড কোর্ট, হোটেল ও শপিং কমপ্লেক্সের বিষয়টি বাইরের এজেন্সি দ্বারা পরিচালনা করা হবে। এ প্রক্রিয়া হবে টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে। ছয় তলার এই স্টেশনে রয়েছে চলন্ত সিঁড়ি, মালামাল রাখার লকার, হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিংমলসহ আধুনিক সব সুবিধা। ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা সম্বলিত এ স্টেশনটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। যেখানে আছে কনভেনশন হল, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন বুথ, এটিএম বুথ, প্রার্থনার স্থানসহ নানান সুবিধা।