কাহারোলের ৬টি ইউনিয়নের কৃষকরা এখন কপি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিশেষ পদ্ধতিতে রোপণ করায় ফুলকপির ফলন বেশি হওয়ায় হাট-বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা পাইকারি বাজারে। কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা আগাম জাতের ধান কেটে আগাম জাতের কপি রোপণ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ও কপিতে কোনো প্রকার রোগবালাই না হলে এবার কপির বাম্পার ফলন হবে ও লাভের আশা করছেন চাষিরা। প্রতি বিঘায় মোট খরচ প্রায় ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকা। ভালো বাজার পেলে ক্ষেত থেকে পাইকারি দরে কপি বিক্রি করে ১ লাখ টাকার উপরে বিক্রির আশা করছেন চাষিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠে আগাম জাতের ফুলকপি চোখে পড়ার মতো। উপজেলার ডহচী গ্রামের কৃষক আহাদ জানান, এক বিঘা মাটিতে আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে এবং বিক্রি করে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। অপর কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, তার এক বিঘা মাটিতে ৬০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করা হয়েছে এবং অর্ধেক জমি এখনো রয়েছে ফুলকপি। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। কৃষকদের আগাম জাতের ফুলকপি লাগানোর পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ফুলকপির দাম ভালো থাকায় কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন বলে কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছে।