ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে বহু বছর ধরে কাজ করে আসছে এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহজীকরণ ও সমৃদ্ধ করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় ও সংযোগ তৈরি করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। স্পিকার বলেন, আজকের পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গর্বিত, যা বাংলাদেশের জন্য একটি সাফল্য। এই সাফল্য প্রমাণ করে যে আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষতার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে এবং শীর্ষ অবস্থানে থাকতে পারে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও পিয়ারসন এডেক্সেলের উদ্যোগে ১০ম বারের মতো আয়োজিত ‘পিয়ারসন এডেক্সেল হাই এচিভার্স অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি ২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বায়নের বর্তমান যুগে সবকিছু এখন আন্তঃসংযুক্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার শিক্ষাব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করা। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আজকের শিক্ষার্থীদের এ অর্জন সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এই অর্জন শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ভীত রচনা করেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নানামুখী প্রচেষ্টায় শিক্ষার হার বৃদ্ধির সাথে সাথে এখন ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পেয়েছে। কোভিড মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেয়েদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে। নারীশিক্ষার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পেরেছে, যা দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা ভোগ করছে, যা কাজে লাগিয়ে কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার মি. ম্যাট ক্যানেল, ইউকে পিয়ারসনের পরিচালক ডেভিড অ্যালবন ও প্রেমিলা পলরাজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি এক্সাম ডিরেক্টর ম্যাক্সিম রায়ম্যান বক্তব্য রাখেন।