চট্টগ্রাম কাস্টমসে আবার বড় ধরনের পণ্য নিলাম আয়োজন হচ্ছে। আগামী সোমবার ১১০ টন গুঁড়ো দুধ, ৪৬ টন আদা এবং সাড়ে ২১ টন কমলা নিলাম হচ্ছে। এরমধ্যে গুঁড়ো দুধের সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৩ টাকা, আদার মূল্য ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৩৪১ টাকা এবং কমলার মূল্য ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ ২ হাজার ৩৮৯ টাকা। নিলামে অংশগ্রহণ বাড়াতে নিলামের একদিন আগে চতুর্দিকে দুই কিলোমিটার মাইকিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
নিলাম শাখা সূত্রে জানায়, পচনশীল পণ্যের দ্রুত নিলাম আয়োজনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থায়ী আদেশ জারি করে। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তাদের অনীহার কারণে সেই আদেশ বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে বিগত সময়ে অনেক খাদ্য পণ্য পঁচে যাওয়ায় তা মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলতে হয়েছে। এতে সরকার রাজস্ব পাওয়া দূরে থাক, উল্টো পণ্য ধ্বংসের অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের পচনশীল পণ্যের নিলামের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার মো. আবদুল হান্নান বলেন, আমরা পচনশীল পণ্য দ্রুত নিলাম সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কনটেইনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কনটেইনার জট লাগে। দিনের পর দিন কনটেইনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।