ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্যরকম

জানা যাবে পৃথিবীর গভীরের রহস্য!

জানা যাবে পৃথিবীর গভীরের রহস্য!

ভূপৃষ্ঠের গভীরে কী আছে তা জানার আগ্রহ অনন্তকাল থেকে। পৃথিবীর অভ্যন্তরে কী ঘটছে, তা কি সব বিজ্ঞানীদের পক্ষে জানা সম্ভব? তবে অনেক অজানাকেই জানাতে পরিণত করতে চীন একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পৃথিবীর গভীরে প্রবেশ করতে চলেছে দেশটি। এমনকি ১০ কিলোমিটার খুঁড়েও ফেলেছে। পৃথিবীর গভীরে কী আছে? প্রায় ১০টি স্তর খনন করার পরে, চীন ক্রিটেসিয়াস সময়ের (১৪৫ মিলিয়ন বছর) পাথর বের করে আনতে পারবে। যদিও এমনটাই ধারণা করছে চীন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। ফলে প্রাচীন যুগের পাথরের খোঁজে লেগে পড়েছে চীনা বিজ্ঞানীরা। যদিও চীনের এই খনন প্রক্রিয়া কোনোভাবেই রেকর্ড করতে পারবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরও একটি কারণ আছে। তা হল ১৯৭০ সালের ২৪ মে রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত কোলা উপদ্বীপে প্রায় ১১ কিলোমিটার খোঁড়া হয়েছিল। আর সেখান থেকেই জানা গিয়েছিল, মাটির নিচে এত গভীরে থাকা পাথরগুলেরতে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে। কেন খোঁড়া হয়েছিল পৃথিবীকে? কারণ এর আগে, বিজ্ঞানীরা আশা করেছিলেন যে এই শিলাগুলোর মধ্য দিয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে না।

শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত ছিলেন যে, সমুদ্রের ভূত্বকে পাওয়া যায় এমন বেসাল্টের স্তরও পৃথিবীর অভ্যন্তরে থাকতে পারে। কিন্তু ফলাফল যা হাতে এসেছিল, তা সম্পূর্ণ আলাদা।

আগ্নেয় শিলার পরিবর্তে, বিজ্ঞানীরা রূপান্তরিত গ্রানাইট খুঁজে পেয়েছিলেন। পৃথিবীকে খুঁড়ে ফেলা এটতাই সহজ? পৃথিবীর অভ্যন্তরে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার খুঁড়ে যাওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। ১৯৬০ এর দশকে, এক আমেরিকান বিজ্ঞানীর দলকে অব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক সমস্যার কারণে প্রকল্পটি বাতিল করতে হয়েছিল। চাইনিজ একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষাবিদ জিনশেং-এর মতে, পৃথিবীর ভূত্বক পরিবর্তনশীল। গড়ে এটি প্রায় ৩০ কিলোমিটার পুরু। ফলে যতটা সহজে করা যাবে বলে মনে করা হয়েছিল, ততটা সহজে এই প্রক্রিয়া সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত