ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে করণীয়

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

দিন দিন বাড়ছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা। প্রাণভরে বিশুদ্ধ বাতাস নেওয়ার কোনো উপায় নেই। বাইরে তো বটেই, দূষিত হচ্ছে ঘরের ভেতরের বাতাসও। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত মাস্ক পরে ঘরের বাইরে বের হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ঘরের বাতাস কীভাবে পরিশুদ্ধ রাখবেন? অনেকে এজন্য ব্যবহার করেন ‘এয়ার পিউরিফায়ার’। তবে এমন যন্ত্র বেশ খরচ সাপেক্ষ। কমের মধ্যে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন গাছে। এমন কিছু গাছ রয়েছে যা ঘরের সৌন্দর্য তো বাড়াবেই, বাড়তি পাওনা হিসেবে দেবে সতেজ বাতাস। গাছগুলো সম্পর্কে জানুন- অ্যান্থুরিয়াম : আলো ভালোবাসে অ্যান্থুরিয়াম। তাই ঘরের যে জায়গায় আলো রয়েছে- সেখানে রাখতে পারেন এই গাছ। সারাবছর এতে লাল রঙা ফুল ফোটে। এই গাছের মাটি একটু ভেজা রাখতে পারলে ভালো হয়। বাতাস থেকে বিভিন্ন ধরনের দূষিত পদার্থ শোষণ করে নিতে অ্যান্থুরিয়াম।

চাইনিজ ব্যাম্বু : অন্দরসজ্জায় এ ধরনের গাছের জুড়ি মেলা ভার। প্রাকৃতিক পরিবেশে সাজানো রেস্টুরেন্টগুলোতে এ গাছের দেখা মেলে। একে অনেকে ‘লাকি ব্যাম্বু’ও বলে থাকেন। কারণ, কারো কারো মতে বাড়িতে এই গাছ রাখা শুভ। অত্যন্ত কম যত্নে ভালো থাকে চাইনিজ ব্যাম্বু। ঘরের বাতাস শুদ্ধ রাখতে এই গাছ রাখতে পারেন। জেড প্ল্যান্ট : খুব কম পানিতে বাঁচতে পারে এই গাছ। খুব বেশি আলোও লাগে না। ঘরের কোণে, যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছয় না, সেখানেও রাখতে জেড প্ল্যান্ট রাখতে পারেন। সপ্তাহে এক দিন বা প্রতি দশ দিনে একদিন এই গাছে পানি দিলেই হয়। অ্যালোভেরা : স্যাকুলেন্ট বা ক্যাকটাস জাতীয় গাছ অ্যালোভেরা। অল্প পানি, শুকনো আবহাওয়াতেও ভালো থাকে এটি। টবে ক্যাকটাস সয়েল অথবা সাধারণ মাটি ভরে দিন। খেয়াল রাখুন, যেন প্রতিটি টবেই বেশ কয়েকটি করে গর্ত বা ড্রেনেজ হোল থাকে। কেননা, মাটি অতিরিক্ত পানি ধারণ করলে অ্যালোভেরা গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মনস্টেরা : অত্যন্ত সুন্দর একটি গাছ মনস্টেরা। বিছানার পাশে, কিংবা জানলার ধারে রাখতে পারেন এটি। অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রে অনেকেরই পছন্দের প্রথম সারিতেই রয়েছে এই গাছ। এই গাছ বড় হতে একটু সময় লাগে। তবে বড় হওয়ার পর এর পাতার নকশা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। ঘরের বিভিন্ন কোণা ভরিয়ে তুলুন উপকারি এসব গাছে। ঘরের সৌন্দর্য বাড়বে। বাতাস থাকবে সতেজ। আর গাছের পরিচর্চা করে ভালো থাকবে মনও।