মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা দুই সপ্তাহ শ্রমিক বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা শঙ্কায় মালিকপক্ষ শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলেও সংকট কাটিয়ে গতকাল ৭০টি কারখানায় উৎপাদন শুরু করেছে। তবে এখনো ৬০টির মতো কারখানা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সড়কে সাঁজোয়া যান নিয়ে টহল দিচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি), শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১, ঢাকা জেলা পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের বিভিন্ন এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছে। গতকাল দুপুরে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুলিয়ার টঙ্গীবাড়ী, গৌরিপুর, আশুলিয়া, শ্রীখন্ডিয়া, বেরন, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুরসহ বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে। শ্রমিকরা উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তবে জিরাবো এলাকার বেশির ভাগ কারখানা খোলা রাখার চেষ্টা করলে কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টের শ্রমিকরা বের হয়ে অন্যান্য কারখানায় ইটপাটকেল ছুড়লে ওই এলাকার কারখানা বিভিন্ন কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে শ্রমিকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ এবং বিভিন্ন কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে গত শনিবার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কারখানার মূল ফটকে নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
তবে এই ঘোষণার পরের দিনই গতকাল শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ৭০টি কারখানা খুলে দেয়া হয়। এসব কারখানার শ্রমিকরা সবাই কাজে যোগদান করে উৎপাদন শুরু করেন। তবে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের উভয় পাশের বেশির ভাগ কারখানাগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে গত শনিবার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই এলাকার ১৩০টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে গতকাল আশুলিয়ায় ৭০টি কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। এখনো ৬০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। যার অধিকাংশই আশুলিয়ার। তবে বন্ধ কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।