এসএ পরিবহণের পার্সেল থেকে ২৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার সাভারে অভিনব কায়দায় এসএ পরিবহণের পার্সেল থেকে ২ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ। এ ঘটনায় দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার সরিষা ইউনিয়নের মো. বাবুল (৩৫) ও ঢাকার ধামরাই এলাকার মো. শরিফ (৩২)।

গতকাল রোববার দুপুরে এসএ পরিবহণের সাভার শাখা থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

পুলিশ জানায়, কক্সবাজার থেকে মাদক আসছে গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে সাভার মডেল থানার একটি আভিযানিক দল সাভার পাকিজা এলাকায় অবস্থিত এসএ পরিবহণের অফিসে অবস্থান নেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে পুলিশ আসার আগেই মাদক ব্যবসায়ীরা পার্সেল ডেলিভারি নিয়ে চলে যায়। পরে পুলিশ কৌশলে তাদের ডেকে এনে তাদের হেফাজত থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো উদ্ধার করে।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে জানান, বাবুল এবং শরিফ নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আমরা ২ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছি। তারা গতকাল কক্সবাজার থেকে ইউনিক পরিবহণের একটি বাসে করে সাভার আসে। গোপন সূত্রে খবর পাই তারা এসএ পরিবহণের মাধ্যমে মাদক নিয়ে আসছে। সেই মোতাবেক আমাদের একটি টিম কাজে নামে। তবে আমাদের টিম পৌঁছানোর আগেই তারা পার্সেল সংগ্রহ করে চলে যায়। তাৎক্ষণিক কৌশলে তাদের এখানে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের হেফাজত থেকে প্রসাধনী ‘ক্রিমের’ কৌটার মধ্যে রাখা ২ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, মূলত এই চক্রটি কৌশলগতভাবে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা ক্রয় করে এসএ পরিবহণের মাধ্যমে এখানে পাঠায়। অন্যদিকে, নিজেদের পরিচয় আড়াল করতে এবং আসার পথে গ্রেপ্তার এড়াতে তারা নিজেরা আলাদা গাড়িতে করে সাভার এসে কুরিয়ার করা পার্সেল সংগ্রহ করে। পরে এসব মাদক সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে।

এসএ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের পার্সেল গ্রহণের সময় তারা কী গ্রহণ করছেন, সে ব্যাপারে তাদের দায়িত্বশীলতার অভাবের সুযোগে এভাবে মাদক চলে আসছে কি না কিংবা তারাও এর সাথে সংশ্লিষ্ট কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, আসলে এটাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে ক্রিমের কৌটার ভেতরে করে এসব ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আসা হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবে কারোর পক্ষে এর ভেতরে কী আছে, তা জানা সম্ভব নয়। তবে এই মাদক আনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক, তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।