সন্ধ্যার আঁধার দূর করতে জ্বালানো হয় বাতি। কিন্তু বাতি জ্বালালেই কোথায় থেকে যেন ঝাঁকে ঝাঁকে পোকা এসে হাজির। লাইটের চারপাশে এদের সরব উপস্থিতি। এসব পোকার অত্যাচারে কাজ করাই কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি খাবার খেতে গেলেও খাবারে এরা উড়ে এসে পড়ে। ছোট ছোট পোকাগুলো নিয়ে কম-বেশি সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। বছরের এই সময়ে এদের অত্যাচার বাড়ে। এদের শ্যামাপোকা বলে। শ্যামাপূজা বা কালীপূজার সময় এদের উপদ্রব বাড়ে বলেই হয়ত এই নামকরণ। চাইলে খুব সহজ কিছু নিয়ম কাজে লাগিয়ে এই বিরক্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন জানা যাক বিস্তারিত- গোলমরিচের স্প্রে : এই পোকা তাড়াতে খুব ভালো কাজ করে গোলমরিচ। এক কাপ পানিতে ২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ একটি স্প্রে বোতলে ভরে বাড়ির সব জায়গায় ছিটিয়ে দিন। বিশেষ করে যেসব জায়গায় পোকার আক্রমণ বেশি। দেখবেন, পোকা কমবে। কেরোসিন : নির্দিষ্ট ঘরের লাইটে পোকার উপদ্রব বেশি হলে একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে অল্প একটু কেরোসিন মেশান। ঘরের যে লাইটে পোকামাকড়ের উপদ্রব হয় তার নিচে এই মিশ্রণ পেতে রাখুন। প্রচুর পোকামাকড় মারা পড়বে। নিমপাতার ডাল : একটি নিমপাতার ডাল সুন্দর করে কেটে এনে ঘরের কোণায় ঝুলিয়ে রাখুন। এতে পোকা-মাকড়ের জ্বালাতন কমবে। নিমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে ছোট্ট এক টুকরো কাপড়ে পুটলি বানিয়ে ঘরের আসবাবপত্রের আড়ালে লুকিয়ে রাখতে পারেন। নিমপাতার ঝাঁঝে পোকা পালাবে। রান্নাঘরেও এই পাতা রাখতে পারেন। শুধু এই পোকা নয়, পিঁপড়া, তেলাপোকাও কমবে। লিকুইড অ্যান্টিসেপটিক : সকালে ঘুম থেকে ওঠেই ঘরবাড়ি ঝাড়ু দিন যেন কোনো পোকামাকড় না থাকে। এরপর লিকুইড অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ঘর মুছে নিন। এতে পোকামাকড় কম আসবে। কালো জিরা : উড়ন্ত এসব পোকা হামলা চালাতে পারে কাপড়ের আলমারিতেও। এক্ষেত্রে ছোট্ট পুটলিতে নিমপাতা বা কালো জিরা বেঁধে রাখুন। পোকা ধরবে না। চাইলে ন্যাপথলিনও ব্যবহার করতে পারেন। কাপড় থাকবে সুরক্ষায়। বেকিং সোডা ও লেবু স্প্রে : পোকামাকড়ের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা এবং লেবুর রস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা এবং দুটি লেবুর রস ছেঁকে নিন। এই দ্রবণটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে ঘরের সব কোণায় স্প্রে করুন। এতে ঘরে উপস্থিত পোকামাকড় দ্রুত ঘর থেকে চলে যাবে।