চবিসাসের স্মারকলিপি
পরীক্ষার্থীদের জন্য বন্ধের দিন ট্রেনের শিডিউল বাড়ানোর দাবি
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো ও চবি সংবাদদাতা
চলমান হরতাল-অবরোধ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও (শুক্র-শনিবার) চলছে পরীক্ষা। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বন্ধের দিন চবির শাটলট্রেনের শিডিউল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর চবি সাংবাদিক সমিতির দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ আজহার স্বাক্ষরিত এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। এ সময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু, অর্থ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক রোকনুজ্জামানসহ সংগঠনটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়, পূর্ণ আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর প্রায় সত্তর শতাংশই ক্যাম্পাসের বাইরে ও শহরে অবস্থান করেন, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস যাতায়াতের প্রধান বাহন শাটল ট্রেন। দেশের চলমান হরতাল-অবরোধ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগের পরীক্ষা শুক্র-শনিবার অর্থাৎ বন্ধের দিন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেশনজট নিরসনে বিভাগ কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, চবি সাংবাদিক সমিতি মনে করে এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও করণীয় রয়েছে। পরীক্ষার কারণে বন্ধের দিনগুলোতে বেশ চাপ থাকে শাটলট্রেনে। তাই পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে বন্ধের দিন সকাল-বিকাল কমপক্ষে আরো দুই জোড়া শাটলট্রেন চালু করা হোক।
চবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতিতে চবি শিক্ষার্থীদের যাতায়াত দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শাটলট্রেনের শিডিউল বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। চাকসুর অবর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করছে চবি সাংবাদিক সমিতি। তাই আমরা চেষ্টা করি শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলোতে সর্বোচ্চ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে। আশাকরি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ নিরসনে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেবে।’ চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এরই মধ্যে আমরা রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক বরাবর দরখাস্ত দেওয়া হবে। নভেম্বর-ডিসেম্বর এ দুই মাস যাতে বন্ধের দিনেও স্বাভাবিক শিডিউলে শাটলট্রেন চলাচল করে, আমরা সেই চেষ্টা করছি।’