জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে আলু রোপণে ব্যস্ত দিন পার করছেন কৃষকরা। সোনালি আমন ধান ঘরে তোলার পাশাপাশি এখন শুধু হয়েছে আলু রোপণের কাজ। জানা গেছে, আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট। রোপা আমন ধান কাটার পরপরই কৃষকরা মূলত আলুর বীজ রোপণের কাজ শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায় এখন জমিতে আলুর বীজ রোপণের কাজ শুরু করছে কৃষকেরা। রোপা আমন ধান ঘরে তুলতে না তুলতেই শুরু হয়েছে আলুর বীজ রোপণের কাজ সব মিলিয়ে যেন ব্যস্ত দিন পার করতে হচ্ছে কৃষকদের।
গতকাল সকালে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে আলু রোপণের জন্য কেউ জমির আইল কাটছেন, কেউ জমি চাষ করছেন, কেউবা আবার আলুর বীজ রোপণের কাজ করছে। মাঠ জুড়ে অসংখ্য মানুষ যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৮ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে, যা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো সম্ভব হবে। কৃষি বিভাগ আরো জানায়, প্রতি বিঘা জমিতে আলু চাষের জন্য ইউরিয়া ৪৫ কেজি, টিএসপি/ডিএপি ৩০ কেজি, এমওপি ৪০কেজি, জিপসাম ১৫ কেজি, জিংক সালফেট ১.৫ কেজি, বোরন ১.৫ কেজি, গোবর ১৫০০ কেজি করে ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার, জাহিদুর রহমান জানান, এবছর চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৮ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। চলতি মৌসুমে বিএডিসির উচ্চ ফলনশীল অ্যাস্টোরিক জাতের আলুবীজের চাহিদা একটু বেশি পাশাপাশি গ্যানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, ক্যারেজ, রোমনা ও লাল পাকরি জাতের আলু বেশি রোপণ হচ্ছে।