থাইরয়েডের সমস্যায় যা করবেন

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

থাইরয়েড এমন একটি সমস্যা, যা সাধারণত নারীদের মধ্যে দেখা যায়। তবে অনেক পুরুষও এই সমস্যায় ভোগেন। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে এই রোগ দেখা দেয়। আমাদের গলায় প্রজাপতি আকারের একটি থাইরয়েড গ্রন্থি আছে। এটি হরমোন তৈরি করে। কোনো কারণে যখন এই গ্রন্থির কার্যকারিতা প্রভাবিত হয়, তখন হরমোন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। ফলে দেখা দেয় থাইরয়েডের সমস্যা। এই সমস্যা থাকলে স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ শরীরে ঘটে যাওয়া ছোটোখাটো পরিবর্তন এড়িয়ে যান। আর তাই সমস্যাটি আরো গুরুতর হতে পারে। থাইরয়েডের প্রকারভেদ : শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন তৈরি হলে ‘হাইপারথাইরয়েডিজম’ সমস্যা দেখা দেয়। আবার এই হরমোন কম পরিমাণে তৈরি হলে দেখা দেয় ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’। প্রাথমিক লক্ষণগুলোতে নজর দেওয়া হলে এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনে কিছু চিকিৎসা করালে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে থাইরয়েডের উপসর্গগুলো কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না- হাইপারথাইরয়েডিজমের লক্ষণ কী কী? কারো হাইপারথাইরয়েডিজমের সমস্যা থাকলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়, তা হলো- ওজন কমে যাওয়া, খিদা বেড়ে যাওয়া, পেশির দুর্বলতা ও ব্যথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, নার্ভাস লাগা, বিরক্তিবোধ করা, অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি। হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ কী কী? কারো হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা হলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয় তা হলো- কম ঘাম হওয়া, অতিরিক্ত চুল পড়া, ক্লান্ত লাগা, মুখে ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, চাপ অনুভব করা, হৃদস্পন্দন কম অনুভব করা, পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া, জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদি।

থাইরয়েড হলে যা খাবেন না : থাইরয়েডের লক্ষণগুলো অনুভব করলে সয়াবিন এবং এই উপাদান দিয়ে তৈরি খাবার খাবেন না। সয়াবিনে রয়েছে ফাইটোস্ট্রোজেন যা থাইরয়েড হরমোন তৈরিকারী এনজাইমের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এড়িয়ে চলতে হবে অ্যালকোহল, ক্যাফেইনযুক্ত জিনিস যেমন চা-কফি, অতিরিক্ত মিষ্টি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার।

জীবনধারায় আনতে হবে পরিবর্তন : সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কিছু ব্যয়াম করা জরুরি। কেন না, থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ডায়েটে রাখুন লাউ, মাশরুমের মতো খাবার। এছাড়া গরুর দুধ, ডাবের পানি, গ্রিন টি, বাদাম ইত্যাদি খেলেও উপকার মেলে। থাইরয়েডের লক্ষণগুলো দেখা দিলে এড়িয়ে যাবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সঠিক জীবনযাত্রা এবং চিকিৎসকের পরামর্শই পারে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে।